কূজন শব্দের অর্থ কি | কূজন শব্দের সমার্থক শব্দ | কূজন শব্দের ব্যবহার

“কূজন” শব্দটি শুনলেই যেন মনের ভেতর এক অদ্ভুত রহস্যময়তার ছোঁয়া লাগে। পাখির ডাক, প্রকৃতির অব্যক্ত ধ্বনি – এই সবকিছুই যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় এই একটি শব্দে। আজ আমরা জেনে নেব “কূজন” শব্দটির অর্থ, ব্যবহার এবং এর সাথে সম্পর্কিত নানান তথ্য।

কূজন শব্দের অর্থ কি?

“কূজন” একটি বিশেষ্য পদ। এর দুটি প্রধান অর্থ রয়েছে:

  1. পাখির ডাক; কাকলি: যখন কোন পাখি মধুর স্বরে ডাকে, তখন আমরা তাকে কূজন বলে থাকি। বিশেষ করে কোকিল, পাপিয়া এইসব পাখির ডাকের ক্ষেত্রে “কূজন” শব্দটি বেশি ব্যবহার করা হয়।
  2. অব্যক্ত ধ্বনি: প্রকৃতিতে নানান রকম অদ্ভুত সব ধ্বনি আমাদের কানে আসে। ঝিরিঝিরি বাতাসের সাথে গাছের পাতার ঘর্ষণ, সূক্ষ্ম জলপ্রবাহের শব্দ, এইসব অব্যক্ত কিন্তু মনোমুগ্ধকর ধ্বনিকেও “কূজন” বলা যেতে পারে।

কূজন শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ

“কূজন” শব্দের কোন সরাসরি ইংরেজি প্রতিশব্দ না থাকলেও এর অর্থ অনুযায়ী কিছু শব্দ ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন:

  • Chirping (পাখির ডাকের ক্ষেত্রে)
  • Cooing (বিশেষ করে ঘুঘুর ডাকের ক্ষেত্রে)
  • Twittering (বিশেষ করে ছোট পাখির ডাকের ক্ষেত্রে)
  • Murmur (অব্যক্ত ধ্বনির ক্ষেত্রে)
  • Whisper (অব্যক্ত ধ্বনির ক্ষেত্রে)

কূজন শব্দের ব্যবহার

বাংলা সাহিত্যে “কূজন” শব্দটির বহুল ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। কবিতা, গান, গল্প – সর্বত্রই এই শব্দটি একটি আবেগঘন ও জীবন্ত atmospheric তৈরি করে।

কিছু উদাহরণঃ

  • “কোকিলের কূজন শুনি, মনে আজি কত কথা জাগে…”
  • “ঝিরিঝিরি বাতাসের সাথে মিশে যায় শুধু পাতার কূজন…”

কূজন শব্দের সাথে সম্পর্কিত কিছু শব্দ

  • কূজিত (বিশেষণ): ধ্বনিত; পাখির ডাকে মুখরিত।
  • কোকিল:
  • পাপিয়া:
  • ঘুঘু:

“কূজন” শব্দটি শুধু একটি শব্দ নয়, এটি আমাদের মাতৃভাষার একটি অনন্য সম্পদ। এর মাধ্যমে আমরা প্রকৃতির সাথে আমাদের এক অদ্ভুত যোগসূত্র অনুভব করতে পারি।

See also  কষ্টি শব্দের অর্থ কি | কষ্টি শব্দের সমার্থক শব্দ | কষ্টি শব্দের ব্যবহার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *