‘কন্ঠ’ শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত ‘√কণ্+ঠ’ ধাতু থেকে। এটি একটি অত্যন্ত পরিচিত এবং বহুল ব্যবহৃত বাংলা শব্দ যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। শব্দটি মূলত মানুষের স্বরযন্ত্র কে নির্দেশ করে, যার মাধ্যমে আমরা কথা বলি, গান গাই, আবেগ প্রকাশ করি।
কন্ঠ শব্দের অর্থ কি?
‘কন্ঠ’ শব্দটি বিশেষ্য পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং এর কয়েকটি অর্থ রয়েছে:
- স্বরযন্ত্র: যে যন্ত্রের সাহায্যে আমরা ধ্বনি উৎপন্ন করি।
- গলার স্বর: কারও কথা বলার ধরণ, সুর, তীব্রতা ইত্যাদি।
- গলদেশ: গলার নিচের অংশ।
- টুঁটি: গলার সামনের উঁচু অংশ।
কন্ঠ শব্দের সমার্থক শব্দ
কন্ঠ শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হল:
- স্বর
- কণ্ঠধ্বনি
- গলা
- কণ্ঠনালী
- বাক
- উক্তি
কন্ঠ শব্দের ব্যবহার
কন্ঠ শব্দটি দিয়ে তৈরি কিছু বহুল ব্যবহৃত শব্দ এবং তাদের অর্থ:
- কন্ঠকণ্ডুয়ন: কথা বলার সময় গলায় সৃষ্ট অস্থিরতা, উত্তেজিত অবস্থায় কথা বলার ধরণ।
- কন্ঠনালি: গলার ভিতর দিয়ে যে নালী বরাবর শ্বাস-প্রশ্বাস এবং খাবার পাকস্থলীতে যায়।
- কন্ঠরোধ: কথা বলা বন্ধ করে দেওয়া, কারও কথা বলার স্বাধীনতা হরণ করা।
- কন্ঠভূষণ: গলায় পরিধেয় অলংকার, যেমন মালা, হার ইত্যাদি।
- কন্ঠস্বর: ব্যক্তির কথা বলার স্বর, সুর, তাল ইত্যাদি।
- কন্ঠাগত: মুখ থেকে বের হওয়ার উপক্রম হওয়া, যেমন- “ক্রোধে তার কথা কন্ঠাগত হলেও সে চুপ করে রইলো।”
কন্ঠ শব্দ ব্যবহার করে কিছু প্রবাদ-প্রবচন
- কথা বেরোলে তবে কন্ঠ চেনা যায়: মানুষের আসল চরিত্র তার কাজকর্ম দেখেই বোঝা যায়।
- কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন: নাম যতই সুন্দর হোক, বাস্তব সেটা নাও হতে পারে।
- কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না: যার চরিত্র খারাপ তাকে কোনো ভাবেই ভালো করা যায় না।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আশা করি বোঝা গেল যে, “কন্ঠ” শব্দটি বাংলা ভাষার একটি গুরুত্বপূর্ণ শব্দ যার ব্যবহার বহুমুখী।