“হাত দিলে ধূলা উড়ে যেন কেয়াকাঁদি”— ভারতচন্দ্রের কবিতার এই পঙক্তিটি আমাদের সকলেরই পরিচিত। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন “কেয়াকাঁদি” শব্দটির অর্থ কি? আজকের আলোচনায় আমরা জানবো কেয়াকাঁদি শব্দটির অর্থ, ব্যবহার, এবং এর সাথে জড়িত কিছু তথ্য।
কেয়াকাঁদি শব্দের অর্থ
বাংলা ভাষায়, “কেয়াকাঁদি” একটি বিশেষ্য পদ। এটি কেতকী ফুলের গুচ্ছকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। কেয়া ফুলের ছড়ায় প্রচুর রেণু থাকে এবং হাত দিলে এই রেণু ধুলার মতো উড়ে যায়।
শব্দের উৎপত্তি
কেয়াকাঁদি শব্দটির উৎপত্তি “কেতকী” এবং “স্কন্ধ” এই দুটি সংস্কৃত শব্দ থেকে।
- কেতক > কেয়া
- স্কন্ধ > কাঁধ
অর্থাৎ কেয়া + কাঁধ = কেয়াকাঁধ। পরবর্তীতে এতে “ই” যুক্ত হয়ে “কেয়াকাঁধি” শব্দের উৎপত্তি হয়।
কেয়াকাঁদি শব্দের ব্যবহার
কেয়াকাঁদি শব্দটি সাধারণত কাব্যিক ভাষায় বেশি ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, রূপক অলঙ্কার হিসেবেও শব্দটির প্রয়োগ দেখা যায়।
কিছু উদাহরণ
- সাবধানে যাও, গাছে কেয়াকাঁদি লেগে আছে।
- তার চুলগুলো ঝুরঝুরে কেয়াকাঁদির মত।
কেয়াকাঁদি শব্দের সমার্থক শব্দ
কেয়াকাঁদি শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হলো:
- কেতকী
- কেওয়া
- কেতকী কুঁড়ি
উপসংহার
“কেয়াকাঁদি” শব্দটি বাংলা ভাষার একটি সুন্দর ও অর্থবহ শব্দ। আশা করি, আজকের আলোচনার মাধ্যমে শব্দটি সম্পর্কে আপনাদের জ্ঞান আরও সমৃদ্ধ হয়েছে।