মুসলমানের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ। ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখার পর থেকে শুরু হয় ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়। এ সময় এক মুমিন মুসলমানের সঙ্গে আরেক মুসলমানের দেখা-সাক্ষাৎ হলে বিশেষ একটি দোয়ার মাধ্যমে ভাব বিনিময় করতে হয়। যে দোয়া পরস্পরের কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করা হয়।
সাহাবায়ে কেরাম ঈদের দিন কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য বলতেন-
আরবিতে :
تَقَبَّلَ اللَّهُ مِنَّا وَمِنْكَ
উচ্চারণ আরবিতে :
তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ও মিনকা। -সুনানুল কুবরা : ৬৫১৯, আল মুজামুল কাবির : ১২৩
অর্থ বাংলাতে :
মহান আল্লাহতায়ালা আমার ও আপনার ঈদ উদযাপন কবুল করুন।
রমজান মাসব্যাপী মুমিন মুসলমান সিয়াম সাধনায় কাটিয়েছেন। রমজানের পরবর্তী মাস শাওয়ালের প্রথম সন্ধ্যা থেকেই এক মুসলমান অপর মুসলমানের সঙ্গে দেখা হলেই পরস্পরের নেক আমলের কবুলের দোয়ায় শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আমাদের দেশে সাধারণত “ঈদ মোবারক” বলে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়। তাই এসব না করে আমরা রাসূলের সুন্নাহ মোতাবেক শুভেচ্ছা বিনিময় করবো।
এতে আল্লাহ তাআলা এক মুমিন মুসলমানের জন্য অপর মুমিন মুসলমানের দোয়াকে কবুল করবেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ দোয়ার মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে পরস্পরের কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করর তাওফিক দান করুন। আমিন।