পৃথিবীতে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তাকে সম্বোধন করে ডাকার জন্য যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়, তাই ইসম বা নাম। অন্যভাবেও বলা যায়, কোনো মানুষকে অপরাপর মানুষ থেকে পার্থক্য করার জন্য যে বিশেষ শব্দের মাধ্যমে ডাকা হয়, তাই-ই নাম। আর এই নাম রাখার ব্যাপারে ইসলামে অত্যধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। প্রতিটি মানুষের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে তার নাম, উপনাম কিংবা উপাধি। সুন্দর ও অর্থবহ নাম রাখার ব্যাপারে রাসূল(সা.) গুরুত্বারোপ করেছেন। সুন্দর নাম রাখার তাগিদ দিয়ে রাসূল(সা.) ইরশাদ করেছেন, কিয়ামতের দিন তোমাদের নিজ নাম ও পিতার নামে ডাকা হবে। সুতরাং তোমরা সুন্দর নাম রাখো।- (আবু দাউদ)
রাইজা নামটি সুন্দর ও অর্থবোধক একটা নাম। রাইজা নামের মতো রাইজা নামের অর্থটাও খুব সুন্দর। আপনি চাইলে আপনার মেয়ে সন্তানের নাম রাইজা রাখতে পারেন। রাইজা এটি একটি আরবি নাম। এই নামে 5 টি ইংরেজি অক্ষর রয়েছে।
রাইজা নামের অর্থ বাংলায়-
রাইজা নামের বাংলা অর্থ হলো -( গোলাপ; নিরুদ্বেগ; নেতা )
রাইজা নামের অর্থ ইংরেজিতে-
রাইজা নামের ইংরেজি অর্থ হলো -( Rose; Relaxed; The leader )
রাইজা নামের বানান ইংরেজিতে- Raiza
রাইজা নামের বানান আরবিতে – رايزا
নাম হলো একজন মানুষের পরিচয়ের অন্যতম মাধ্যম। সেজন্য সুন্দর ও অর্থবোধক নাম রাখা প্রত্যেক পিতা-মাতা কিংবা অভিভাবকগণের ওপর গুরুতর দায়িত্ব এবং কর্তব্য। তাই আসুন, সন্তানের জন্য অর্থহীন কিংবা বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুসরণ না করে সুন্দর ও অর্থবহ নাম রাখি। আশা করি রাইজা নামের বাংলা, আরবি/ ইসলামিক এবং ইংরেজি নামের অর্থ জানতে পেরেছেন।