বাংলা ভাষার সমৃদ্ধ ভাণ্ডারে অনেক শব্দ রয়েছে যার অর্থ জানা আমাদের ভাষার প্রতি আরও গভীর অনুধাবন তৈরি করে। এমনই একটি শব্দ হল “খিঁচ”। এই শব্দটির বিভিন্ন অর্থ আছে এবং এর ব্যবহারও বেশ আকর্ষণীয়। “খিঁচ” শব্দের অর্থ, ব্যবহার, সমার্থক শব্দ, এবং এর সাথে সম্পর্কিত প্রবাদ-প্রবচন জানার মাধ্যমে আমরা বাংলা ভাষার সৌন্দর্য আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারব।
খিঁচ শব্দের অর্থ
“খিঁচ” শব্দটির অর্থ বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন রকমের হতে পারে। এখানে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:
- টান; আকর্ষণ: “খিঁচ” শব্দটি টান বা আকর্ষণ বোঝাতে ব্যবহার করা হয়। যেমন, “আমার কাছে তার গল্পের খিঁচ ছিল।”
- কাঁকর: ছোটো ছোটো পাথর, যাকে “কাঁকর”ও বলা হয়, তাকে “খিঁচ” বলা হয়।
- ত্রুটি; গোলযোগ: কোনো কাজে “খিঁচ” থাকা মানে কাজে ত্রুটি বা গোলযোগ থাকা।
- মনান্তর; কলহ; বিবাদ: “খিঁচ” শব্দটি মনান্তর, কলহ, বা বিবাদ বোঝাতেও ব্যবহার করা হয়।
- তর্কাতর্কি: “খিঁচ” ব্যবহার করা হয় তর্কাতর্কি বা বিতর্ক বোঝাতেও।
খিঁচা, খেঁচা ক্রিয়া
“খিঁচা, খেঁচা” ক্রিয়াটি “আকর্ষণ করা; টানা” বোঝায়। যেমন, “তার গান আমাকে খিঁচে নিয়ে যায়।”
খিঁচ শব্দের সমার্থক শব্দ
- টান
- আকর্ষণ
- কাঁকর
- ত্রুটি
- গোলযোগ
- মনান্তর
- কলহ
- বিবাদ
- তর্ক
- বিতর্ক
খিঁচ শব্দের ব্যবহার
“খিঁচ” শব্দটি বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহার করা হয়। কোনো কিছুর টান, আকর্ষণ, ত্রুটি, কলহ, বা তর্ক বোঝাতে এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
খিঁচ শব্দের সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রবাদ-প্রবচন
- “খিঁচ না থাকলে ঝগড়া হয় না” – এই প্রবাদটি বোঝায় যে, কোনো বিষয়ে সামান্য ত্রুটি থাকলেই ঝগড়া শুরু হতে পারে।
- “খিঁচের কাছে যারা জানে না, তারা কোনো কাজ করে না” – এই প্রবাদটি বোঝায় যে মানুষ কোনো কাজ শুরু করার আগে সম্ভাব্য ত্রুটি বা গোলযোগ সম্পর্কে সচেতন থাকে।
“খিঁচ” শব্দটি বাংলা ভাষার সৌন্দর্য এবং সমৃদ্ধির একটি উদাহরণ। এই শব্দটির বিভিন্ন অর্থ এবং ব্যবহার আমাদের ভাষা সম্পর্কে আরও ভালো ভাবে জানতে সাহায্য করে।