আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানান ধরণের শব্দের মুখোমুখি হই আমরা। কিছু শব্দ খুব পরিচিত, কিছু আবার অপরিচিত। ‘কড়ঙ্কস্য’ – এমনই একটি শব্দ যা হয়তো আমরা সবাই প্রতিদিন ব্যবহার করি না, কিন্তু শুনে অপরিচিতও মনে হয় না। আজ আমরা এই লেখায় ‘কড়ঙ্কস্য’ শব্দটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
কড়ঙ্কস্য শব্দের অর্থ
‘কড়ঙ্কস্য’ একটি বিশেষ্য পদ। এই শব্দের অর্থ হলো কড়ির বা অর্থের কৃচ্ছ্রতা; ব্যয়কুণ্ঠতা; কিপটেমি। অর্থাৎ যখন কেউ অর্থ ব্যয় করতে চায় না, অতিরিক্ত কিপটে থাকে, তখন তার এই আচরণকে ‘কড়ঙ্কস্য’ বলে।
কড়ঙ্কস্য শব্দের উৎপত্তি
‘কড়ঙ্কস্য’ শব্দটি এসেছে ‘কড়ঙ্ক’ থেকে। ‘কড়ঙ্ক’ শব্দের অর্থ হল কাঁকড়া। কাঁকড়া যেমন নিজের আকড়ে ধরা জিনিস ছাড়তে চায় না, ঠিক তেমনি যে ব্যক্তি কিপটে স্বভাবের হয়, অর্থাৎ অর্থ ব্যয় করতে চায় না, তাকে ‘কড়ঙ্ক’ অর্থাৎ কাঁকড়ার সাথে তুলনা করা হয়।
কড়ঙ্কস্য শব্দের সমার্থক শব্দ
- কিপটেমি
- ব্যয়কুণ্ঠতা
- কৃপণতা
- মিতব্যয়িতা (প্রায়শই ব্যঙ্গাত্মক অর্থে)
কড়ঙ্কস্য শব্দের ইংরেজি অনুবাদ
- Stinginess
- Miserliness
- Parsimony
- Frugality
কড়ঙ্কস্য শব্দের ব্যবহার
কিছু বাক্যের উদাহরণ:
- তার কড়ঙ্কস্যের কারণে সবার কাছে হেয় হতে হয়।
- অতিরিক্ত কড়ঙ্কস্য ভালো না।
- কড়ঙ্কস্য করে সংসার চালানো কষ্টকর।
- তুমি কি ভাবো মিতব্যয়ী হওয়া মানে কড়ঙ্কস্য করা?
কড়ঙ্কস্য শব্দটির সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রবাদ-প্রবচন
- কাঁকড়া কুমিরের পেটে যায় না, আর কিপটের ধন থাকে না।
- কিপটের ধন খায় না পোষায় না।
উপসংহার: ‘কড়ঙ্কস্য’ একটি নিতান্ত ই সাধারণ এবং প্রচলিত শব্দ হলেও এটির মাধ্যমে মানুষের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়। অতিরিক্ত কিছুই ভালো না, তেমনি অতিরিক্ত কড়ঙ্কস্যও মানুষকে অসামাজিক বানিয়ে তোলে।