বাংলা ভাষা অনেক প্রাচীন এবং সমৃদ্ধ একটি ভাষা। প্রতিটি শব্দের পেছনে লুকিয়ে আছে অনেক ইতিহাস এবং ঐতিহ্য। আজ আমরা আলোচনা করবো “কেঁড়া পোকা” শব্দটি নিয়ে। এই আপাত-সাধারণ শব্দটির মধ্যে লুকিয়ে আছে ভাষার বিবর্তনের ইতিহাস।
কেঁড়া পোকা শব্দের অর্থ
বাংলায় “কেঁড়া পোকা” বলতে সাধারণত ‘Cockroach’ কে বোঝায়।
শব্দের উৎপত্তি
“কেঁড়া পোকা” শব্দটি আসলে দুটি পৃথক শব্দের সমন্বয়ে গঠিত:
- **কেঁড়া:** এটি সংস্কৃত ‘কীট’ শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ ‘পোকামাকড়’।
- **পোকা:** এটিও সংস্কৃত ‘পুলক’ শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ ‘ছোট প্রাণী’।
কেঁড়া পোকা শব্দের সমার্থক শব্দ
“কেঁড়া পোকা” ছাড়াও এই প্রাণীটিকে আরও কিছু নামে ডাকা হয়:
- **আরশোলা**
- **তোড়া পোকা** (কিছু অঞ্চলে)
কেঁড়া পোকা শব্দের ব্যবহার
“কেঁড়া পোকা” শব্দটি প্রধানত দুটি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়:
- **প্রাণীবিদ্যা:** প্রাণীবিদ্যার প্রসঙ্গে ‘Cockroach’ কে বোঝাতে
- **দৈনন্দিন জীবন:** ঘরে এই পোকা দেখা গেলে সাধারণত “কেঁড়া পোকা” বলেই বলা হয়।
এছাড়াও “কেঁড়া পোকা” শব্দটি কিছু প্রবাদ-প্রবচনেও ব্যবহৃত হয়। যেমন:
- “কেঁড়া পোকার মতো টিকে থাকা ” – অর্থাৎ যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে টিকে থাকার ক্ষমতা।
“কেঁড়া পোকা” শব্দটির ইতিহাস এবং ব্যবহার থেকে আমরা বাংলা ভাষার সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের একটি ঝলক পাই।