আমাদের বাংলা ভাষা শব্দ সম্ভারে সমৃদ্ধ। একই অর্থ প্রকাশের জন্য রয়েছে নানান শব্দ। কখনও তা সমার্থক, কখনও আবার একই শব্দের রুপভেদ। আজ আমরা জেনে নেব ‘কেন্দুয়া’ শব্দটি সম্পর্কে – কিভাবে এসেছে এই শব্দ, এর অর্থ কি, কোথায় ব্যবহৃত হয় ইত্যাদি।
‘কেন্দুয়া’ শব্দের উৎপত্তি ও অর্থ
‘কেন্দুয়া’ শব্দটি এসেছে ‘কেন্দু’ থেকে। কেন্দু শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল কাঁধ। ধারণা করা হয়, প্রাকৃত ভাষায় ‘স্কন্ধ’ শব্দ থেকে পরিবর্তিত হয়ে ‘কংধ’ এবং পরবর্তীকালে বাংলায় তা ‘কাঁধ’ এবং ‘কান্দ’ – এই দুই রূপ ধারণ করে।
‘কেন্দুয়া’ শব্দটি মূলত কাঁধ মোটা প্রাণী বোঝাতে ব্যবহৃত হত। বিশেষ করে যেসব প্রাণীর কাঁধের কাছে মাংসপেশী বেশি विकसित, যেমন বাঘ।
কেন্দুয়া শব্দের ব্যবহার
বাংলা সাহিত্যে ‘কেন্দুয়া’ শব্দটি প্রধানত নেকড়ে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে। তারিণীচরণ মিত্র তার লেখায় ‘কেন্দুয়া’ শব্দটি নেকড়ের জন্য ব্যবহার করেছেন।
‘কেন্দুয়া’ শব্দের সমার্থক শব্দ
- নেকড়ে
- ব্যঘ্র
- পাটব্যঘ্র
‘কেন্দুয়া’ শব্দ ব্যবহার করে কিছু বাক্য
- রাতের বেলায় জঙ্গলে কেন্দুয়ার হুঙ্কার শোনা যায়।
- কেন্দুয়া একটি হিংস্র প্রাণী।
এই ছিল ‘কেন্দুয়া’ শব্দ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত একটি আলোচনা।