‘কৃশর’ শব্দটির সাথে আমরা কমবেশি সকলেই পরিচিত। খুব ছোটবেলা থেকেই কথ্য ভাষায় এই শব্দটি আমাদের কানে আসে। কিন্তু শব্দটির আভিধানিক অর্থ, ব্যবহার, ইত্যাদি সম্পর্কে অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই। আজকের এই পোস্টে আমরা জানবো ‘কৃশর’ শব্দটির অর্থ, ব্যবহার, ইত্যাদি সম্পর্কে।
কৃশর শব্দের অর্থ কি?
‘কৃশর’ শব্দটি মূলত একটি বাংলা শব্দ। এর অর্থ হলো খিচুড়ি। তবে শুধু খিচুড়ি নয়, এক প্রকার তাল মিশ্রিত অন্নকেও ‘কৃশর’ বলা হয়।
কৃশর শব্দের উৎপত্তি
‘কৃশর’ শব্দটির উৎপত্তি সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। ধারণা করা হয়, সংস্কৃত ‘কৃশ’ (অর্থ- রোগা, ক্ষীণ) ধাতু থেকে এই শব্দের উৎপত্তি। কারণ খিচুড়িকে সাধারণত অসুস্থ ব্যক্তিদের খাবার হিসেবে ধরা হয়।
কৃশর শব্দের ব্যবহার
বাংলা সাহিত্যে, বিশেষ করে গ্রামীণ জীবন নির্ভর সাহিত্যে ‘কৃশর’ শব্দটির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
কিছু উদাহরণঃ
- ‘কতদিন যে মাঠের ভাত, কৃশর খাই নাই’। – এখানে ‘কৃশর’ শব্দটি দিয়ে খিচুড়িকে বোঝানো হয়েছে।
- ‘আজ দুপুরে কৃশর রান্না হবে’। – এখানে ‘কৃশর’ শব্দটি দিয়ে তাল মিশ্রিত অন্নকে বোঝানো হয়েছে।
কৃশর শব্দের সমার্থক শব্দ
খিচুড়ি, ভাজা ভাত, তাল মিশ্রিত ভাত।
কৃশর শব্দটির সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রবাদ-প্রবচন
- কৃশরের গোঁফ। (যার প্রকৃত কোন মূল্য নেই)
আশা করি, ‘কৃশর’ শব্দটির অর্থ, ব্যবহার, ইত্যাদি সম্পর্কে আপনাদের স্পষ্ট ধারণা হয়েছে।