রঙিন আনন্দ, ধর্মীয় আচার, সৌন্দর্যের প্রতীক – কুমকুম শব্দটির সাথে জড়িয়ে আছে বাঙালি সংস্কৃতির নানান রঙ। কিন্তু “কুমকুম” শব্দটির পেছনে লুকিয়ে আছে আরও কতকিছু! চলুন, আজ আমরা এই পরিচিত শব্দটির অজানা দিকগুলো উন্মোচন করি।
কুমকুম শব্দের অর্থ কি?
“কুমকুম” মূলত আরবি ভাষা থেকে আগত একটি শব্দ। বাংলায়, “কুমকুম” বলতে সাধারণত লাল রঙের গুঁড়োকে বোঝায়, যা আবীর এবং সুগন্ধি পানি মিশিয়ে তৈরি করা হয়। বিশেষ করে, পূজা-অর্চনা, বিবাহ অনুষ্ঠান, অথবা শুভ কোন অনুষ্ঠানে কপালে কুমকুমের টিপ একটি প্রচলিত প্রথা।
কুমকুম শব্দের সমার্থক শব্দ
কুমকুম শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হল:
- আবীর
- সিঁদুর
- রঞ্জন
- ফাগু
কুমকুম শব্দের ব্যবহার
শুধুমাত্র ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানই নয়, “কুমকুম” শব্দটি বাংলা ভাষায় বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়।
কিছু উদাহরণ
- প্রাত্যহিক জীবনে: “আজ তোমার মাথায় কুমকুম খুব ভালো লাগছে।”
- সাহিত্যে: “রক্ত ঝরে ঝরে পড়লো যেন কুমকুম।” (কাব্যিক আলংকারিক ভাষা হিসেবে)
কুমকুম শব্দ সম্পর্কিত আরও কিছু তথ্য
- ইংরেজি অর্থ: Vermilion, Kumkum
- উচ্চারণ: [কুম্কুম্]
- প্রবাদ-প্রবচন: “যার ধন তার কপালে কুমকুম।” (যার ভাগ্য ভালো, তারই সব)।
পরিশেষে বলা যায়, একটি ছোট্ট শব্দ “কুমকুম”। কিন্তু এর পেছনে লুকিয়ে আছে আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ভাষার বৈচিত্র্য।