“ময়ূরই সুন্দর, কলবিঙ্ক নয়, কাক নয়”– এই ধারণা ভেঙে বেরিয়ে আসাটা অনেক সময় কঠিন। কিন্তু কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্যই কি সব? ভেতরের সৌন্দর্য, মধুর সুরের কদর কারা করবে? হয়তো সেই চিন্তা থেকেই অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, “ময়ূরই সুন্দর, কলবিঙ্ক নয়, কাক নয় এই কথা যারা বলেছে এমন মানুষই পৃথিবীতে ছেয়ে রয়েছে দেখতে পাই।” কলবিঙ্ক শব্দটির সাথে জড়িয়ে আছে বাংলা ভাষার একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্য। আজ আমরা জানবো কলবিঙ্ক শব্দটির অর্থ, ব্যবহার, এবং এর সাথে সম্পর্কিত নানা তথ্য।
কলবিঙ্ক শব্দের অর্থ
কলবিঙ্ক (Kolobinko) একটি বাংলা বিশেষ্য পদ। এটি মূলত “কল” এবং “বিঙ্ক” এই দুটি সংস্কৃত শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। “কল” মানে মধুর এবং “বিঙ্ক” মানে স্বর। অর্থাৎ কলবিঙ্ক মানে মধুর স্বরের অধিকারী।
কলবিঙ্ক শব্দের সমার্থক শব্দ
- চটক
- চড়াই
- সারিকা (কিছু কিছু ক্ষেত্রে)
কলবিঙ্ক শব্দের ব্যবহার
কলবিঙ্ক শব্দটি মূলত চটক বা চড়াই পাখিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। কবি কঙ্কণ মুকুন্দরাম চক্রবর্তী তার ছন্দোমালিকা গ্রন্থে লিখেছেন, “কুরর কুক্কুট কঙ্ক, কামী কোক কলবিঙ্ক, কলরব কুলিঙ্গ কর্কট।” এই পঙক্তিতে তিনি বিভিন্ন প্রাণীর ধ্বনির সাথে তাদের নামের মিল দেখিয়েছেন।
কলবিঙ্ক শব্দটি কিছু প্রবাদ-প্রবচনেও ব্যবহৃত হয়।
- ময়ূরের নৃত্য আর কলবিঙ্কের গান।(অর্থঃ বাহ্যিক সৌন্দর্য ও প্রতিভার তুলনা)
আশা করি এই পোস্ট পড়ে আপনার কলবিঙ্ক শব্দটি সম্পর্কে স্পষ্ট একটি ধারণা হয়েছে।
