‘কর্ঠীরব’! শুধু শব্দটি উচ্চারণেই যেন মনে ভেসে ওঠে এক গভীর রহস্যের আভাস। বাংলা ভাষার এমন অনেক শব্দ আছে যার অর্থ শুধু অভিধানে সীমাবদ্ধ নয়, লুকিয়ে আছে ইতিহাস, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের পাতায় পাতায়। ‘কর্ঠীরব’ তেমনই এক অনন্য শব্দ যা শুধু ভাষার সম্পদই নয়, বরং আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতিরও এক অমূল্য অংশ।
কর্ঠীরব শব্দের অর্থ কি?
‘কর্ঠীরব’ একটি সংস্কৃত শব্দ যা ‘কন্ঠী’ এবং ‘রব’ এই দুটি পদের সমাবেশে গঠিত। ‘কন্ঠী’ অর্থ ঘাড় এবং ‘রব’ অর্থ শব্দ। অর্থাৎ যার ঘাড় থেকে শব্দ বের হয়। এই অর্থে ‘কর্ঠীরব’ শব্দের তিনটি প্রধান অর্থ প্রচলিত আছে:
- কপোত; পারাবত
- মত্ত হাতি
- সিংহ
কর্ঠীরব শব্দের সমার্থক শব্দ
কর্ঠীরব শব্দের অর্থ অনুযায়ী এর বেশ কিছু সমার্থক শব্দ পাওয়া যায়।
- কপোত; পারাবত – ঘুঘু, পায়রা
- মত্ত হাতি – উन्मত্ত গজ,
- সিংহ – কেশরী, পঞ্চানন
কর্ঠীরব শব্দের ব্যবহার
বাংলা সাহিত্যে ‘কর্ঠীরব’ শব্দটির ব্যবহার বিরল হলেও কাব্য ও সাহিত্য উভয় ক্ষেত্রেই এটি একটি অনন্য সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে। কর্ঠীরব শব্দটি দিয়ে কপোত, মত্ত হাতি এবং সিংহ এই তিনটি প্রাণীর শব্দের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়।
উদাহরণ:
- “বনের মাঝে কর্ঠীরব ধ্বনিতে মুখরিত পরিবেশ” – এখানে কর্ঠীরব দিয়ে সিংহের ডাক বোঝানো হচ্ছে।
- “সূর্যাস্তের সময় নীল আকাশে কর্ঠীরবের জোড়া উড়ে যাচ্ছে” – এখানে কর্ঠীরব দিয়ে পারাবত বোঝানো হয়েছে।
কর্ঠীরব শব্দ সম্পর্কে কিছু তথ্য
- বাংলা উচ্চারণ: kor-ṭhi-rob
- পদের নাম: বিশেষ্য
- ইংরেজি অর্থ: Pigeon, dove, mad elephant, lion
‘কর্ঠীরব’ শব্দটি বাংলা ভাষার একটি সমৃদ্ধ উত্তরাধিকারের প্রতীক। এই ধরনের অনেক সুন্দর এবং অর্থবহ শব্দ আমাদের ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে।