‘খেত্রী’ শব্দটি হিন্দুস্থানী ভাষার একটি শব্দ যা ক্ষত্রিয় জাতিবিশেষকে বোঝায়। এই শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত ভাষার ‘ক্ষত্রিয়’ শব্দ থেকে। ক্ষত্রিয়রা হিন্দু সমাজের চারটি বর্ণের মধ্যে একটি, যাদেরকে যোদ্ধা এবং শাসক হিসেবে সম্মানিত করা হতো।
খেত্রী শব্দের অর্থ কি?
‘খেত্রী’ শব্দের বাংলা অর্থ হলো ক্ষত্রিয়। এটি ক্ষত্রিয় জাতির একটি প্রতিশব্দ। এই শব্দটি হিন্দুস্থানী ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে।
খেত্রী শব্দের সমার্থক শব্দ
- ক্ষত্রিয়
- ছত্রী
- রাজপুত
- যোদ্ধা
- শাসক
খেত্রী শব্দের ব্যবহার
‘খেত্রী’ শব্দটি ক্ষত্রিয় জাতির মানুষ এবং তাদের পরিচয় বোঝাতে ব্যবহার করা হয়।
খেত্রী শব্দের উৎপত্তি
‘খেত্রী’ শব্দটি সংস্কৃত ভাষার ‘ক্ষত্রিয়’ শব্দ থেকে উদ্ভূত। ‘ক্ষত্রিয়’ শব্দের অর্থ হলো ‘যোদ্ধা’ এবং ‘রক্ষক’। প্রাচীনকালে ‘ক্ষত্রিয়’ জাতি সমাজের রক্ষক এবং শাসক ভূমিকা পালন করতো।
খেত্রী সম্পর্কিত বাংলা শব্দ
- ক্ষত্রিয়
- রাজপুত
- যোদ্ধা
- রাজা
- শাসক
- সেনাপতি
- যুদ্ধ
খেত্রী সম্পর্কিত প্রবাদ-প্রবচন
‘খেত্রী’ শব্দটির সাথে সরাসরি কোনো প্রবাদ-প্রবচন নেই। তবে ক্ষত্রিয় জাতির সাহস এবং যুদ্ধক্ষেত্রে বীরত্ব সম্পর্কে অনেক প্রবাদ-প্রবচন আছে।
‘খেত্রী’ শব্দটির সাথে সম্পর্কিত একটি প্রবাদ হলো: ‘ক্ষত্রিয়ের কাজ যুদ্ধ, ব্রাহ্মণের কাজ পড়াশোনা।’ এই প্রবাদে ক্ষত্রিয় জাতির যুদ্ধক্ষেত্রে বীরত্ব এবং যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা প্রকাশ পাচ্ছে।
‘খেত্রী’ শব্দটি একটি ঐতিহ্যবাহী শব্দ যা হিন্দুস্থানী সংস্কৃতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ধারণ করেছে।