“খেচরান্ন” শব্দটি বাংলা ভাষার একটি প্রচলিত শব্দ। এই শব্দটি “খিচুড়ি” এর জন্য ব্যবহৃত হয় এবং এর ব্যবহার বহু বছর ধরে চলে আসছে। আজ আমরা এই শব্দের ইতিহাস, অর্থ, এবং সমার্থক শব্দের ব্যাপারে জানবো।
খেচরান্ন শব্দের অর্থ
খেচরান্ন শব্দটি “খিচুড়ি” এর জন্য ব্যবহৃত হয়। “খিচুড়ি” একটি জনপ্রিয় বাংলা খাবার যা চাল, ডাল, এবং বিভিন্ন ধরণের সবজি দিয়ে তৈরি হয়।
খেচরান্ন শব্দের ব্যুৎপত্তি
খেচরান্ন শব্দটি সংস্কৃত “কৃসর” শব্দ থেকে উদ্ভূত। “কৃসর” শব্দের প্রাকৃত রূপ হল “কিসর”, যা পরবর্তীতে “কিছর” এবং “খিচর” এ পরিণত হয়। “খিচর” শব্দটির সাথে “অন্ন” শব্দ যুক্ত হয়ে “খেচরান্ন” শব্দটি তৈরি হয়।
খেচরান্ন শব্দের সমার্থক শব্দ
খেচরান্ন শব্দের অনেকগুলো সমার্থক শব্দ আছে, যেমন:
- খিচুড়ি
- কিচুড়ি
- খিচুড়ী
- কিচুড়ী
খেচরান্ন শব্দের ব্যবহার
খেচরান্ন শব্দটি বাংলা ভাষায় বহুল ব্যবহৃত হয়। এই শব্দটি খাবারের নাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
খেচরান্ন শব্দের সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রবাদ-প্রবচন
- “খেচরান্ন খেলে দু’কোলে চিবুক”
এই প্রবাদটি বোঝায় যে, খেচরান্ন খেতে হলে দু’হাতে চিবুক ঠেকাচ্ছেন ।
খেচরান্ন শব্দের উচ্চারণ
খেচরান্ন শব্দের বাংলা উচ্চারণ “কেচরান্ন” ।
খেচরান্ন এর নামের বিভিন্ন ভাষায়
- বাংলা: খেচরান্ন, খিচুড়ি
- ইংরেজি: Khichdi
- হিন্দি: खिचड़ी (Khichdi)
- ওড়িয়া: ଖିଚୁଡ଼ି (Khichudi)
আশা করি, এই ব্লগপোস্টটি “খেচরান্ন” শব্দ সম্পর্কে আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি করেছে।