“কৈশোর” শব্দটি শুনলেই মনে ভেসে ওঠে জীবনের এক অদ্ভুত সুন্দর সময়, যা বেপরোয়া হাসি, নতুন নতুন স্বপ্ন এবং অনেক আবেগে ভরা। আজ আমরা এই ব্লগ পোস্টে “কৈশোর” শব্দটির গভীরে যাবো, এর অর্থ, ব্যবহার এবং এর সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রবাদ-প্রবচন নিয়ে আলোচনা করব।
কৈশোর শব্দের অর্থ কি?
“কৈশোর” একটি বিশেষ্য পদ যা মূলত মানুষের জীবনের একটি নির্দিষ্ট সময়কাল নির্দেশ করে। এই সময়কালটি হলো শৈশব এবং যৌবনের মাঝামাঝি সময়। সাধারণত দশ থেকে পনেরো বছর বয়সকে কৈশোর বলা হয়।
কৈশোর শব্দের উৎপত্তি
“কৈশোর” শব্দটি তৎসম। এটি এসেছে “কিশোর” শব্দ থেকে। “কিশোর” শব্দের সাথে “অ” প্রত্যয় যোগ করে “কৈশোর” শব্দটি গঠিত হয়েছে।
কৈশোর শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ
“কৈশোর” শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো “Adolescence”।
কৈশোর শব্দের সমার্থক শব্দ
কৈশোর শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ নিচে তুলে ধরা হলো:
- তরুণ বয়স
- নবীনতা
- কিশোরকাল
- পৌগণ্ডাবস্থা
কৈশোর শব্দের ব্যবহার
কৈশোর শব্দটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:
- সাহিত্য: কৈশোর জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই বাংলা সাহিত্যে কৈশোর থিম ভিত্তিক অনেক কবিতা, গল্প, উপন্যাস আছে। যেমন: “কৈশোর কালের কবিতা”, “কৈশোরের গল্প”।
- मनोविज्ञान: मनोविज्ञानে, কৈশোর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই সময়কালে মানুষের মধ্যে অনেক শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তন ঘটে।
- দৈনন্দিন জীবন: আমরা দৈনন্দিন জীবনে “কৈশোর” শব্দটি ব্যবহার করে থাকি। যেমন: “তার কৈশোর বেলা কাটে গ্রামে”, “আমার কৈশোরের সবচেয়ে সুন্দর সময়”।
কৈশোর সম্পর্কিত প্রবাদ-প্রবচন
- কৈশোর কালের ধন যৌবনের বল।
- কৈশোরে যার পড়াশোনা নেই, তার জীবনে উন্নতি নেই।
উপসংহার: কৈশোর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই সময় থেকেই মানুষের জীবনের ভিত্তি তৈরি হয়। তাই প্রত্যেকের উচিত কৈশোরের সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করা।