বাংলা ভাষার অপার সম্ভারে এমন অনেক শব্দ আছে যেগুলোর অর্থ ও ব্যবহার সম্পর্কে আমাদের স্পষ্ট ধারণা নেই। ‘কৃশোদর’ তেমনি একটি শব্দ যা আমরা প্রায়শই ব্যবহার করি না। আজ আমরা জেনে নেব ‘কৃশোদর’ শব্দটির অর্থ, ব্যবহার এবং এর সাথে সম্পর্কিত কিছু তথ্য।
কৃশোদর শব্দের অর্থ কি?
‘কৃশোদর’ একটি বাংলা বিশেষণ পদ। এটি ‘কৃশ’ এবং ‘উদর’ এই দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। ‘কৃশ’ শব্দের অর্থ হলো ক্ষীণ বা রোগা, এবং ‘উদর’ শব্দের অর্থ হলো পেট।
তাই, ‘কৃশোদর’ শব্দের অর্থ দাঁড়ায় –
- যার উদর কৃশ বা রোগা, ক্ষীণোদর।
- ক্ষীণকটি।
ইংরেজিতে ‘কৃশোদর’ শব্দটিকে thin-bellied, lean-bellied, slim-waisted ইত্যাদি বলা যেতে পারে।
কৃশোদর শব্দের ব্যবহার
আধুনিক বাংলায় ‘কৃশোদর’ শব্দটির ব্যবহার খুব একটা দেখা যায় না। তবে সাহিত্যে, বিশেষ করে প্রাচীন বাংলা সাহিত্যে এই শব্দটির ব্যবহার ছিল।
উদাহরণ:
- রাজার কঠোর শাসনের ফলে প্রজারা কৃশোদর হয়ে পড়েছিল।
কৃশোদর শব্দের সমার্থক শব্দ
‘কৃশোদর’ শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হলো:
- ক্ষীণকটি
- রোগা
- ক্ষুধার্ত
- অনাহারী
‘কৃশোদর’ শব্দটির স্ত্রীলিঙ্গ ‘কৃশোদরী’।
আশা করি, ‘কৃশোদর’ শব্দটি সম্পর্কে আপনাদের এখন সম্পূর্ণ ধারণা হয়েছে।