‘কুভোজন’ – শব্দটি শুনলেই আমাদের মনে একটি নেতিবাচক ধারণার উদয় হয়। কিন্তু কী এই ‘কুভোজন’? খাদ্যের সাথে এর সম্পর্ক কী ? আজ আমরা জানবো ‘কুভোজন’ শব্দটির অর্থ, ব্যবহার এবং এর সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্য।
কুভোজন শব্দের অর্থ কি?
‘কুভোজন’ একটি বিশেষ্য পদ। এটি দুটি সংস্কৃত শব্দের সমন্বয়ে গঠিত: ‘কু’ এবং ‘ভোজন’। ‘কু’ অর্থ মন্দ বা খারাপ, আর ‘ভোজন’ অর্থ আহার বা খাওয়া। সুতরাং, ‘কুভোজন’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায় ‘মন্দ আহার’ বা ‘খারাপ খাওয়া’।
কুভোজন শব্দের সমার্থক শব্দ
‘কুভোজন’-এর মতো অনেক বাংলা শব্দ আছে যা একই অর্থ প্রকাশ করে।
- অপথ্য
- অখাদ্য
- বিষ
- গেঁয়ো
- অনাহার
কুভোজন শব্দের ব্যবহার
‘কুভোজন’ শব্দটি বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহার করা হয়।
- অখাদ্য বস্তু ভক্ষণ: যখন কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে অখাদ্য বস্তু খায়, তখন ‘কুভোজন’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, “ছোট বাচ্চাদের কুভোজন থেকে বাঁচাতে তাদের নজরদারিতে রাখা উচিত।”
- মন্দ আহার: যখন কেউ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বা পুষ্টিকর খাবার খায়, তখনও ‘কুভোজন’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, “দীর্ঘদিন ধরে কুভোজনের ফলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।”
কুভোজন শব্দটির সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রবাদ-প্রবচন
- “যেমন খাদ্য তেমন দেহ।”
- “আহারে বীষ মনে করে, তার মরণ কোথায় ঢুঁড়ে?”
উপরোক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে ‘কুভোজন’ শুধু একটি শব্দ নয়, বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যগত বিষয়। সুতরাং, সুস্থ থাকার জন্য আমাদের সবার খাদ্যাভ্যাসের প্রতি সচেতন হওয়া প্রয়োজন।