আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে নানান ধরণের শব্দ আমরা ব্যবহার করে থাকি। কিছু শব্দ খুব পরিচিত, আবার কিছু শব্দ অপরিচিত। ‘কুক’ তেমনই একটি শব্দ যা আমাদের কাছে বেশ অচেনা। অনেকেই হয়তো এই শব্দটির সাথে পরিচিত নই। তবে, বাংলা সাহিত্যে, বিশেষ করে কবিতায় এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। আজ আমরা জানবো ‘কুক’ শব্দটির অর্থ, ব্যবহার এবং এর সাথে সম্পর্কিত কিছু তথ্য।
‘কুক’ শব্দের অর্থ কি?
‘কুক’ একটি অব্যয় পদ। এটি মূলত একটি উচ্চ সংকেত ধ্বনি যা ডাকাতদের দ্বারা ব্যবহৃত হতো। কোন স্থানে অন্য ডাকাতদের ডাকার জন্য অথবা কোন সংকেত দেওয়ার জন্য তারা ‘কুক’ ধ্বনিটি ব্যবহার করতো।
‘কুক’ শব্দের সমার্থক শব্দ
‘কুক’ শব্দের কোন সঠিক সমার্থক শব্দ বাংলা ভাষায় নেই। তবে, এর অর্থ বোঝাতে ‘হুঙ্কার’, ‘আওয়াজ’, ‘ডাক’ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা যেতে পারে।
‘কুক’ শব্দের ব্যবহার
- ‘কুক’ শব্দটি সাধারণত ডাকাতদের সংকেত ধ্বনি হিসেবেই ব্যবহৃত হতো।
- কবিতায় ‘কুক’ শব্দটি রহস্য তৈরি করতে, ভয়াবহ পরিবেশ তৈরি করতে অথবা ডাকাতদের কর্মকাণ্ড বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হতে পারে।
- কাজী নজরুল ইসলামের কবিতায় ‘কুক’ শব্দটির ব্যবহার দেখা যায়। তিনি তার “মোমেন সাহেব” কবিতায় লিখেছেন- “এমনি করে আচমকা কুক দিয়ে দিয়ে আমার মর্মর মন্দিরের পাষাণ অর্গল খুলে ফেলিস”। এখানে ‘কুক’ শব্দটি ডাকাতদের কার্যকলাপের একটি ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
কিছু তথ্য
- ‘কুক’ শব্দটি বাংলায় একটি অনুকরণোপম শব্দ যা মূলত ধ্বনিকে নির্দেশ করে।
- ‘কুক’ শব্দটি ইংরেজিতে ‘hoot’, ‘cry’, ‘call’ ইত্যাদি শব্দের মাধ্যমে অনুবাদ করা যেতে পারে।
উপসংহারে বলা যায়, ‘কুক’ শব্দটি যদিও আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বেশি ব্যবহৃত হয় না, তবুও এটি বাংলা ভাষার একটি অংশ। এই ধরনের অনেক অজানা শব্দ আমাদের ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে।