আমাদের দৈনন্দিন জীবনে, আমরা প্রায়ই এমন কিছু শব্দ ব্যবহার করি যার অর্থ আমরা ঠিক জানি না। ‘কুঁতা’ তেমনই একটি শব্দ। ‘কুঁতা’ শব্দটি শুনলেই কারো কারো চোখের সামনে হয়তো ভেসে ওঠে কুকুরের মুখচ্ছবি! কিন্তু আজ আমরা কুকুর নয়, ‘কুঁতা’ শব্দটির ভাষাতাত্ত্বিক দিক নিয়ে আলোচনা করব।
কুঁতা শব্দের অর্থ
বাংলা ভাষায়, ‘কুঁতা’ শব্দটির অর্থ নির্ভর করে এর ব্যবহারের উপর।
ক্রিয়া হিসেবে ‘কুঁতা’ শব্দের অর্থ
- কাতরতা বা ক্লেশ প্রকাশক ধ্বনি।
উদাহরণ: রোগীটি ব্যথা পেয়ে কাতরাতে কাতরাতে ‘কুঁতা’ শব্দ করছিল। - মলাদি ত্যাগের জন্য দম বন্ধ করে বেগে বা জোরে চাপ দেওয়া; কুন্থন।
উদাহরণ: শিশুটি পেট ব্যথায় কুঁতাচ্ছে।
বিশেষ্য হিসেবে ‘কুঁতা’ শব্দের অর্থ
‘কুঁতা’ শব্দটি বিশেষ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে, এর অর্থ হলো উপরে উল্লেখিত ক্রিয়ার অর্থ।
কুঁতা শব্দের ইংরেজি অর্থ
‘কুঁতা’ শব্দের কোনো সঠিক ইংরেজি অনুবাদ নেই। তবে, প্রসঙ্গ অনুযায়ী ‘groan’, ‘moan’, ‘strain’ ইত্যাদি শব্দ দিয়ে এর অর্থ প্রকাশ করা যেতে পারে।
‘কুঁতা’ শব্দের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য শব্দ
‘কুঁতা’ শব্দটির সাথে সম্পর্কিত আরও কিছু শব্দ হল:
- কুঁতানো
- কোঁতানো
- কোঁথানো
কুঁতানো/কোঁতানো/কোঁথানো ক্রিয়ার অর্থ
- শারীরিক বল নিয়োগে কষ্ট করা; অতিরিক্ত শক্তি প্রকাশক শব্দ করা।
উদাহরণ: চারিজন মাঝিতে কুঁতিয়া ধরাধরি করিয়া উপরে তুলিয়া দিল (প্যারীচাঁদ মিত্র (টেকচাঁদ ঠাকুর))। - কুঁততে বাধ্য করা।
উদাহরণ: পুলিশ চোরকে কুঁতাতে কুঁতাতে থানায় নিয়ে গেল। - ((আলঙ্কারিক)) কষ্ট দেওয়া।
উদাহরণ: তোমার কথা আমাকে খুব কুঁতালো।
কুঁতানো/কোঁতানো/কোঁথানো বিশেষ্যের অর্থ
এই তিনটি শব্দ বিশেষ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে, এদের অর্থ হলো উপরে উল্লেখিত ক্রিয়ার অর্থ।
‘কুঁতা’ শব্দের ব্যবহার
‘কুঁতা’, ‘কুঁতানো’, ‘কোঁতানো’ এবং ‘কোঁথানো’ শব্দগুলি আমাদের দৈনন্দিন কথোপকথনে এবং সাহিত্যে ব্যবহৃত হয়।
উপসংহারে বলা যায়, ‘কুঁতা’ এবং এর অনুষঙ্গী শব্দগুলি বাংলা ভাষার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই শব্দগুলির মাধ্যমে আমরা মানুষের শারীরিক এবং মানসিক অবস্থার বিভিন্ন রূপ প্রকাশ করতে পারি।