কুঁইকুঁই শব্দের অর্থ কি | কুঁইকুঁই শব্দের সমার্থক শব্দ | কুঁইকুঁই শব্দের ব্যবহার

“কুঁইকুঁই” – শব্দটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ছোট্ট কোনো কুকুরছানার মুখ। কিন্তু শুধু কি তাই? আসলে এই ছোট্ট শব্দটির অনেকগুলো ভিন্ন ভিন্ন অর্থ এবং ব্যবহার লুকিয়ে আছে।

কুঁইকুঁই শব্দের অর্থ কি?

“কুঁইকুঁই” শব্দটি মূলত একটি অনুকার শব্দ। অর্থাৎ এই শব্দটি দিয়ে কোনো একটি ধ্বনির অনুকরণ করা হয়।

কুঁইকুঁই শব্দের দুটি প্রধান অর্থ রয়েছে:

  1. কুকুর ছানার ডাক: এটিই “কুঁইকুঁই” শব্দের সবচেয়ে পরিচিত অর্থ। ছোট্ট কুকুরছানারা যখন তাদের মায়ের কাছে দুধ চায়, খেলা করতে চায়, অথবা কোনো কিছু বুঝাতে চায় তখন তারা “কুঁইকুঁই” শব্দ করে।
  2. কুকুরের ক্ষুধা, শীত, কষ্ট প্রভৃতি সূচক চাপা আর্তনাদ: শুধু ছানা নয়, বড় কুকুরেরাও যখন ক্ষুধার্ত থাকে, ঠান্ডায় কাঁপে, অথবা কোনো কষ্ট পায় তখন তারা চাপা স্বরে “কুঁইকুঁই” শব্দ করে।

কুঁইকুঁই শব্দের সমার্থক শব্দ

“কুঁইকুঁই” শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হল:

  • ঘেউ ঘেউ
  • ভোঁ ভোঁ
  • কুইঁ কুইঁ
  • Whimper (ইংরেজি)

কুঁইকুঁই শব্দের ব্যবহার

“কুঁইকুঁই” শব্দটি প্রধানত দুটি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়:

  • কথোপকথনে: দৈনন্দিন জীবনে আমরা কুকুরছানার ডাক অথবা কুকুরের চাপা আর্তনাদ বোঝাতে “কুঁইকুঁই” শব্দটি ব্যবহার করি।
  • সাহিত্যে: গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি সাহিত্যকর্মে “কুঁইকুঁই” শব্দটি ব্যবহার করে লেখকেরা কুকুরের অবস্থা ও পরিবেশের চিত্র তুলে ধরেন।

কিছু উদাহরণ:

  • “ছোট্ট পুকুরের ধারে একটা কুকুরছানা “কুঁইকুঁই” করে কাঁদছিল।”
  • “ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে কুকুরটা “কুঁইকুঁই” শব্দ করছিল।”

“কুঁইকুঁই” শব্দটি যদিও একটি সাধারণ শব্দ, তবুও এটি বাংলা ভাষার একটি অনন্য ও অর্থবহ অংশ। এই ছোট্ট শব্দটি আমাদের মনে কত না বিচিত্র চিত্র ও অনুভূতির জাগরণ ঘটায়!

See also  কোঁচকা শব্দের অর্থ কি | কোঁচকা শব্দের সমার্থক শব্দ | কোঁচকা শব্দের ব্যবহার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *