“কারণ্ডব খঞ্জন করকট” – কবি কঙ্কণ মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর চণ্ডীমঙ্গলে ব্যবহৃত এই পংক্তিটির মধ্য দিয়েই হয়তো অনেকের কাছেই পরিচিত ‘কারণ্ডব’ শব্দটি। বাংলা ভাষার একটি অতি পরিচিত শব্দ হলেও এর অর্থ অনেকের কাছেই অজানা। আজকের এই আলোচনায় আমরা জানবো ‘কারণ্ডব’ শব্দটির অর্থ ও ব্যবহার সম্পর্কে।
কারণ্ডব শব্দের অর্থ কি?
‘কারণ্ডব’ একটি বিশেষ্য পদ। বাংলায় এই শব্দটি দিয়ে একপ্রকারের হাঁস কে বোঝায়, যাকে আমরা বালিহাঁস বলেও চিনি।
কারণ্ডব শব্দের উৎপত্তি
‘কারণ্ডব’ শব্দটির উৎপত্তি সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও ধারণা করা হয়, শব্দটি সংস্কৃত ‘কারণ্ড’ এবং ‘বা’ ধাতু থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। ‘কারণ্ড’ অর্থ শস্যের খোসা এবং ‘বা’ অর্থ ধারণ করা। অর্থাৎ যে পাখি শস্যের খোসা খেয়ে থাকে।
কারণ্ডব শব্দের সমার্থক শব্দ
‘কারণ্ডব’ শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ রয়েছে।
- বালিহাঁস
- শুষ্কপদী
- রাজহাঁস (কিছু ক্ষেত্রে)
কারণ্ডব শব্দের ব্যবহার
‘কারণ্ডব’ শব্দটি প্রধানত সাহিত্য এবং আঞ্চলিক ভাষায় ব্যবহৃত হয়। কিছু উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:
- “কারণ্ডব খঞ্জন করকট” – (কবি কঙ্কণ মুকুন্দরাম চক্রবর্তী)
- নদীর ধারে এক ঝাঁক কারণ্ডব বিচরণ করছিল।
কারণ্ডব শব্দ সম্পর্কিত কিছু তথ্য
- কারণ্ডব একপ্রকারের জলচর পাখি।
- এরা প্রধানত জলাশয়ের কাছাকাছি অঞ্চলে বসবাস করে।
- মাছ, পোকামাকড়, শামুক ইত্যাদি এদের প্রিয় খাবার।
আশা করি আজকের আলোচনার মাধ্যমে ‘কারণ্ডব’ শব্দটি সম্পর্কে আপনাদের একটি স্পষ্ট ধারণা হয়েছে।