খাবারপ্রেমী বাঙালির রসনার টানে অনেক বিদেশি শব্দই স্থায়ী আসন পেয়েছে আমাদের ভাষায়। তেমনই একটি শব্দ “কাবাব”। মুখরোচক এই খাবারের নাম শুনলেই জিভে জল আসাটা স্বাভাবিক। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন এই “কাবাব” শব্দের অর্থ কি? চলুন আজ জেনে নেই “কাবাব” শব্দ সম্পর্কে বিস্তারিত।
কাবাব শব্দের অর্থ কি?
“কাবাব” আসলে আরবি ভাষার শব্দ। বাংলায় এটি বিশেষ্য পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর অর্থ হলো শলাকায় বিদ্ধ করে সেঁকা মাংস।
কাবাব শব্দের উচ্চারণ
- বাংলা: কাবাব্ [ka-baab]
- ইংরেজি: Kebab [kɪˈbæb]
কাবাব শব্দের সমার্থক শব্দ
যদিও “কাবাব” শব্দের কোনো সরাসরি বাংলা সমার্থক শব্দ নেই, তবুও এর কাছাকাছি অর্থ প্রকাশ করে এমন কিছু শব্দ হলো:
- শিশ কাবাবের ক্ষেত্রে: “শলাকা মাংস”, “সিক কাবাব”
- ঝোলসহ কাবাবের ক্ষেত্রে: “ঝাল মাংস”, “রোস্ট”
কাবাব শব্দের ব্যবহার
“কাবাব” শব্দটি আমাদের ভাষায় বিভিন্ন ভাবে ব্যবহৃত হয়।
১. খাদ্য হিসেবে
সাধারণত বিভিন্ন রকম মাংস শলাকায় বিদ্ধ করে সেঁকা খাবারকে “কাবাব” বলা হয়। যেমন:
- শিশ কাবাব
- বিহারী কাবাব
- রেজালা কাবাব
- বোটি কাবাব ইত্যাদি ।
২. আলঙ্কারিক অর্থে
কাবাব শব্দটি কখনও কখনও আলঙ্কারিক ভাবেও ব্যবহৃত হয়। যেমন “যন্ত্রণা দেওয়া” অথবা “বিদীর্ণ করা” অর্থে।
উদাহরণ:
- “যেন কাবাব করিতে বেঁধে কলিজাতে শিক” – কাজী নজরুল ইসলাম
কাবাব শব্দটির সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রবাদ-প্রবচন
বাংলা ভাষায় “কাবাব” শব্দটি নিয়ে প্রচলিত কিছু মজার প্রবাদ-প্রবচন ও আছে। যেমন:
- “অতি লোভে তাতী নষ্ট, অতি বুদ্ধিতে কাবাব নষ্ট”।
এই প্রবাদটি আমাদের বোঝাতে চায় যে, অতিরিক্ত লোভ অথবা অতিরিক্ত বুদ্ধি উভয়ই ক্ষতিকর।
পরিশেষে বলা যায়, “কাবাব” শব্দটি শুধু একটি খাবারের নাম নয়, বরং এটি আমাদের সংস্কৃতি ও ভাষার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।