আমাদের চুরুপাশে নানান ধরণের শব্দ, কিছু শব্দ আমরা প্রতিদিন শুনি, কিছু শব্দ খুবই বিরল। এই বিরল শব্দগুলোর মধ্যে অনেক শব্দই বাংলা ভাষার ঐতিহ্য বহন করে। এই ধরণের একটি মজার এবং অনুকরণাত্মক শব্দ হলো “কাটুরকুটুর”। এই শব্দটির সাথে আমরা কমবেশি সকলেই পরিচিত, বিশেষ করে ছোটবেলায় গল্পের বই পড়ার সময়। আজ আমরা এই ব্লগপোস্টে “কাটুরকুটুর” শব্দটির অর্থ, ব্যবহার এবং এর সাথে সম্পর্কিত আরো কিছু তথ্য জানবো।
কাটুরকুটুর শব্দের অর্থ কি?
“কাটুরকুটুর” হলো একটি অব্যয় পদ, যা মূলত কোন শব্দের সাথে যোগ না হয়ে স্বাধীনভাবে বাক্যে ব্যবহৃত হয় এবং ধ্বন্যাত্মক অর্থ প্রকাশ করে। এই শব্দটি দিয়ে সাধারণত দাঁত দিয়ে কোনো কিছু কাটার শব্দ বোঝানো হয়। বিশেষ করে ইঁদুর, ছুঁচো ইত্যাদি প্রানীর খাবার কাটার শব্দের সাথে “কাটুরকুটুর” শব্দটির সাদৃশ্য পাওয়া যায়।
কাটুরকুটুর শব্দের সমার্থক শব্দ
যেহেতু “কাটুরকুটুর” শব্দটি একটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ, তাই এর সঠিক কোনো সমার্থক শব্দ নেই। তবে, একই রকম অর্থ প্রকাশ করে এমন কিছু শব্দ হলো:
- কুরুকুড়ে
- কট কট
- খুট খুট
কাটুরকুটুর শব্দের ব্যবহার
বাংলা সাহিত্যে “কাটুরকুটুর” শব্দটি প্রধানত ধ্বনি অনুকরণের মাধ্যমে জীবন্ত চিত্র তুলে ধরার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- উদাহরণ: “রাতের বেলায় ঘরে একটা ইঁদুর কাটুরকুটুর শব্দ করে খাবার খাচ্ছিলো।”
এছাড়াও শিশুদের ছড়া, কবিতা, গল্প ইত্যাদিতে “কাটুরকুটুর” শব্দটির ব্যবহার দেখা যায়।
প্রবাদ-প্রবচন:
“কাটুরকুটুর” শব্দ দিয়ে বিশেষ কোন প্রবাদ-প্রবচন না থাকলেও, এই শব্দটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।
পরিশেষে বলা যায়, “কাটুরকুটুর” শব্দটি বাংলা ভাষার একটি ধ্বন্যাত্মক সৌন্দর্যের প্রতীক। এই ধরণের শব্দ আমাদের ভাষাকে আরো সমৃদ্ধ এবং রসালো করে তোলে।