কাঁদা শব্দটি বাংলা ভাষার একটি সাধারণ কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ শব্দ। আমাদের জীবনের নানা প্রান্তে, নানা আবেগের মাঝে এই শব্দটি জড়িয়ে থাকে। কাঁদা শুধু চোখের জল নয়, বরং মনের ভেতরের এক গভীর অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ। এই পোস্টে আমরা ‘কাঁদা’ শব্দটির অর্থ, ব্যবহার, এবং এর সাথে সম্পর্কিত নানান তথ্য নিয়ে আলোচনা করবো।
কাঁদা শব্দের অর্থ কি?
‘কাঁদা’ একটি ক্রিয়াপদ যার অর্থ হলো রোদন করা, চোখের জল ফেলা। যেমন: “সে দুঃখে কাঁদছে।” ‘কাঁদা’ বিশেষ্য পদ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়, যার অর্থ হলো রোদন, ক্রন্দন। যেমন: “তার কান্না দেখে আমার খুব খারাপ লেগেছে।”
কাঁদা শব্দের সমার্থক শব্দ
‘কাঁদা’ শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হলো:
- রোদন করা
- ক্রন্দন করা
- চোখের জল ফেলা
- হাউমাউ করা
- বিলাপ করা
কাঁদা শব্দের ব্যবহার
‘কাঁদা’ শব্দটি বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হতে পারে।
কিছু উদাহরণ:
- দুঃখ প্রকাশ করতে: “মা মরার খবর শুনে সে কেঁদে ফেলে।”
- আবেগ প্রকাশ করতে: “আনন্দে তার চোখে জল এসে গেল।”
- অনুনয়-বিনয় প্রকাশ করতে: “তুমি আমাকে ক্ষমা করো, আমি আর কখনো এমন করবো না।”
কাঁদা শব্দের সাথে সম্পর্কিত কিছু শব্দ:
- কাঁদানো: কাউকে কাঁদতে প্রবৃত্ত করা।
- কাঁদা-কাটি: বিলাপ; অনুনয়-বিনয়।
- কেঁদে হাট করা/বসানো: উচ্চৈঃস্বরে কেঁদে লোকজন জড় করা।
কাঁদা শব্দ সম্পর্কিত কিছু প্রবাদ-প্রবচন:
- কেঁদে কেউ মা পায় না।
- হাসি কাঁদানো।
- কাঁদতে কাঁদতেই হাসতে শিখতে হয়।
উপসংহার: কাঁদা শুধু একটি শব্দ নয়; এটি মানুষের একটি সার্বজনীন আবেগের প্রতীক।