“সাজিল কর্বূরবৃন্দ”— মাইকেল মধুসূদন দত্তের কবিতায় ব্যবহৃত এই শব্দটির সাথে আমরা কমবেশি সকলেই পরিচিত। কিন্তু “কর্মূর” শব্দটির প্রকৃত অর্থ কী তা কি আমরা জানি? “কর্মূর” শব্দটির ব্যবহার কী কেবল সাহিত্যেই সীমাবদ্ধ, নাকি আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও এর প্রয়োগ ঘটে? আজকের এই পোস্টে আমরা “কর্মূর” শব্দটির অর্থ, ব্যবহার এবং এর সাথে সম্পর্কিত নানান তথ্য নিয়ে আলোচনা করব।
কর্মূর শব্দের অর্থ
“কর্মূর” একটি তৎসম শব্দ যা সংস্কৃত ‘√কর্+ঊর’ থেকে এসেছে। এর অর্থ হলো রাক্ষস, দৈত্য, অসুর, পিশাচ ইত্যাদি।
কর্মূর শব্দের সমার্থক শব্দ
কর্মূর শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হল:
- রাক্ষস
- দৈত্য
- অসুর
- পিশাচ
- দানব
কর্মূর শব্দের ব্যবহার
কর্মূর শব্দটি সাধারণত সাহিত্যে, বিশেষ করে কবিতায় ব্যবহৃত হয়। কিছু উদাহরণ:
- “সাজিল কর্বূরবৃন্দ, ভয়ঙ্কর রূপ ধারি।” – মাইকেল মধুসূদন দত্ত
- “কর্মূরের হাত থেকে রক্ষা করো মা।” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
তবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এই শব্দটির ব্যবহার বিরল।
কর্মূর শব্দ সম্পর্কিত আরও তথ্য
- ব্যুৎপত্তি: সংস্কৃত √কর্+ঊর
- পদের নাম: বিশেষ্য
- বাংলা উচ্চারণ: [কোর্বুর্]
- ইংরেজি অর্থ: Demon, monster, ogre
আশা করি, এই পোস্টটি পড়ে আপনারা “কর্মূর” শব্দটি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।