মৃত্যু! জীবনের এক অনিবার্য সত্য, যার কাছে মাথা নত করতে হয় সকলকেই। আর এই মৃত্যুর পর শেষ নিদ্রায় যে জিনিসটি আমাদের আশ্রয় হয়, সেটিই হলো ‘কফিন’। একটি শব্দ যা আমাদের মনে যেমন বিষণ্ণতা তৈরি করে, তেমনি কৌতূহলও জাগিয়ে তোলে। আজ আমরা এই ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে ‘কফিন’ শব্দটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
‘কফিন’ শব্দের অর্থ কি?
‘কফিন’ একটি বিদেশী শব্দ যা আরবি ‘কফন’ থেকে এসেছে। এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো ‘Coffin’. বাংলায় আমরা একে ‘শবাধার’ বলে থাকি। অর্থাৎ, যে কাঠের বাক্সে মৃতদেহ রেখে সমাধিস্থ করা হয় তাকে ‘কফিন’ বলা হয়।
‘কফিন’ শব্দের উচ্চারণ
কফিন শব্দটির বাংলা উচ্চারণ হল [কোফিন্]।
‘কফিন’ শব্দের পদের নাম
‘কফিন’ শব্দটি মূলত বিশেষ্য পদ।
- বাংলায়: বিশেষ্য
- ইংরেজিতে: Noun
‘কফিন’ শব্দের সমার্থক শব্দ
‘কফিন’ শব্দের কিছু প্রচলিত সমার্থক শব্দ রয়েছে। যেমন:
- শবাধার
- তাগত
- সিন্দুক
- মৃতদেহ রাখার বাক্স
‘কফিন’ শব্দের ব্যবহার
‘কফিন’ শব্দটি বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহার করা হয়।
- সাহিত্যে: কবিতা, গল্প, উপন্যাসে মৃত্যুর প্রতীক হিসেবে ‘কফিন’ শব্দের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
উদাহরণ:
- “কোন খানি কফিনের মত নিঃশব্দ রাত…”
- সাংবাদিকতায়: মৃত্যু সংবাদ প্রকাশের সময় ‘কফিন’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ:
- “শহীদের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করলেন প্রধানমন্ত্রী।”
- রূপক অর্থে: ‘কফিন’ শব্দটি কখনও কখনও রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ:
- “দুর্নীতি এই দেশের জন্য কফিনের শেষ পেরেক বসিয়ে দিয়েছে।”
‘কফিন’ শব্দ সম্পর্কিত কিছু তথ্য
- প্রাচীন মিশরে ফারাওদের মমি সংরক্ষণের জন্য সুসজ্জিত কফিন ব্যবহার করা হত।
- বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে কফিনের আকার, আকৃতি, তৈরির উপকরণ ভিন্ন হয়।
‘কফিন’ শব্দটি মৃত্যুর একটি নির্মম স্মারক। তবে, এই শব্দটি আমাদের জীবন ও মৃত্যুর মাঝে সম্পর্কের কথা মনে করিয়ে দেয়।