‘কপর্দক’ শব্দটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক অতি ক্ষুদ্র মূল্যের ছবি, এক সামান্য অস্তিত্বের ইঙ্গিত। কিন্তু এই সামান্য শব্দটির ভেতরে লুকিয়ে আছে ইতিহাস, ভাষা এবং সংস্কৃতির এক বিরাট অংশ। আজ আমরা এই ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে ‘কপর্দক’ শব্দটির অর্থ, ব্যবহার, এবং এর সাথে জড়িত নানান তথ্য আলোচনা করব।
কপর্দক শব্দের অর্থ কি?
বাংলা ভাষায় ‘কপর্দক’ একটি বিশেষ্য পদ। এর উৎপত্তি ‘কপর্দ+ক(কন্)’। ‘কপর্দক’ শব্দটির প্রধান অর্থ হল:
- প্রাচীনকালে প্রচলিত এক ধরণের মুদ্রার ন্যূনতম একক।
- অর্থ বা মূল্য হিসেবে ব্যবহৃত কড়ি।
- খুবই সামান্য পরিমাণ অর্থ; তুচ্ছ পরিমাণ ধন।
কপর্দক শব্দের সমার্থক শব্দ
‘কপর্দক’-এর কিছু সমার্থক শব্দ হল:
- কড়ি
- টাকা
- পয়সা
- ধন
কপর্দক শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ
‘কপর্দক’-এর কিছু ইংরেজি প্রতিশব্দ হল:
- Cowrie (প্রাচীন মুদ্রা হিসেবে)
- Money
- Small amount of money
- Pittance
কপর্দক শব্দের ব্যবহার
‘কপর্দক’ শব্দটি সাধারণত অর্থের অপ্রতুলতা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। কিছু উদাহরণ:
- “তোমার কাছে যদি এক কপর্দকও না থাকে, তবুও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিও।”
- “এই কাজ করে আমার এক কপর্দকও লাভ হবে না।”
কপর্দক শব্দ সম্পর্কিত প্রবাদ-প্রবচন
বাংলা ভাষায় ‘কপর্দক’ শব্দ ব্যবহার করে অনেক প্রবাদ-প্রবচন রয়েছে। যেমন:
- কপর্দকের কদর কেবল দরিদ্রই বোঝে।
- এক কপর্দকের জন্য বিশ্বাসঘাতকতা করা উচিত নয়।
‘কপর্দক’ শব্দটি কেবল একটি শব্দ নয় বরং এটি আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির একটি অংশ। এই ছোট্ট শব্দটি আমাদের অতীতের সাথে যোগসূত্র স্থাপন করে এবং মানুষের জীবনে অর্থের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে সাহায্য করে।