আমাদের প্রিয় বাংলা ভাষায় প্রতিটি শব্দের এক একটি আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। ঠিক তেমনই একটি শব্দ “কন্না”। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে শব্দটি ব্যবহার করলেও এর সঠিক অর্থ বা ব্যবহার সম্পর্কে অনেকেই অজ্ঞ। আজকের আলোচনায় আমরা “কন্না” শব্দটির অর্থ, ব্যবহার, এবং এর সাথে জড়িত আরও কিছু তথ্য জানার চেষ্টা করবো।
“কন্না” শব্দের অর্থ কি?
“কন্না” শব্দটি মূলত সংস্কৃত “কর্ণ” থেকে এসেছে। বাংলায় “কন্না” এবং “কর্না” এই দুই রূপ ব্যবহৃত হলেও, দুটি শব্দের অর্থ প্রায় একই।
- করণীয়: কোন কাজ যা করা উচিত বা কর্তব্য।
- ক্রিয়া: কোন কাজ করা।
- কর্তব্য: যে কাজ করা একজনের নৈতিক দায়িত্ব।
“কন্না” শব্দের সমার্থক শব্দ
“কন্না” শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হলো:
- কাজ
- কর্ম
- দায়িত্ব
- ভার
- কর্তব্য
“কন্না” শব্দের ব্যবহার
দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে “কন্না” শব্দটি ব্যবহার করে থাকি।
- “তোমার এখন পড়াশোনা করা কন্না।” – এখানে “কন্না” শব্দটি কর্তব্য অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
- “আমার অনেক ঘরকন্না আছে।” – এখানে “ঘরকন্না” শব্দটি গৃহস্থালীর কাজকর্ম অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
- “তোমার কন্না তোমাকেই করতে হবে।” – এখানে “কন্না” শব্দটি দায়িত্ব অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
কিছু প্রবাদ-প্রবচন যেখানে “কন্না” শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে:
- কন্না ছাড়া কোন মানুষের মূল্য নেই।
- যার কর্ম নেই তার ধর্ম নেই।
পরিশেষে বলা যায় যে, “কন্না” শব্দটি ছোট হলেও এর ভেতরে লুকিয়ে আছে গভীর অর্থ। এই শব্দটি আমাদের জীবনের কর্মের প্রতি আগ্রহী করে তোলে এবং দায়িত্ববোধ জাগ্রত করে।