বাংলা ভাষায় ‘খোজুয়া’ শব্দটি একটি অদ্ভুত ও মনোরম শব্দ। এটি ত্বকের একটি অবস্থা বোঝায় যা চুলকানি, পাঁচড়া, অথবা খোস তৈরি করে। শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত শব্দ ‘খর্জু’ থেকে, যার অর্থ ‘চুলকানি’। ‘খোজুয়া’ শব্দটির ব্যবহার বাংলা ভাষায় বহুল প্রচলিত এবং এর সাথে অনেক প্রবাদ-প্রবচন ও মুখবন্ধও যুক্ত। এই লেখায় আমরা ‘খোজুয়া’ শব্দটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
খোজুয়া শব্দের অর্থ কি?
‘খোজুয়া’ শব্দের অর্থ হলো ‘চুলকানি‘, ‘পাঁচড়া‘, অথবা ‘খোস‘।
খোজুয়া শব্দের সমার্থক শব্দ
- চুলকানি
- পাঁচড়া
- খোস
- খুসকি
- ডার্মাটাইটিস
- একজিমা
খোজুয়া শব্দের ব্যবহার
‘খোজুয়া’ শব্দটি বাংলা ভাষায় বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ। এটি সাধারণত ত্বকের অবস্থা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ:
- শীতকালে অনেকেরই ত্বকে খোজুয়া হয়।
- এই তেল ব্যবহার করলে খোজুয়া দ্রুত কমে যাবে।
- অনেকেরই খোজুয়া হয় এলার্জির কারণে।
‘খোজুয়া’ শব্দের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য বাংলা শব্দ
- চুলকানি: চুলকানি হলো ত্বকের একটি প্রতিক্রিয়া যা বিরক্তিকর এবং অস্বস্তিকর।
- পাঁচড়া: পাঁচড়া হলো ত্বকের একটি অবস্থা যা ত্বকের রঙ পরিবর্তন করে, ফুলে ওঠে এবং চুলকায়।
- খোস: খোস হলো ত্বকের একটি অবস্থা যা ত্বকের উপরিভাগ থেকে খোস উঠে যায়।
‘খোজুয়া’ শব্দের সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রবাদ-প্রবচন
‘খোজুয়া’ শব্দটির সাথে কিছু প্রবাদ-প্রবচন ও মুখবন্ধ যুক্ত, যেমন:
- “খোজুয়া হলে ভালো, তবু খোসা না যাক” – এই প্রবাদটি বোঝায় যে কোন কিছুর দুর্ভোগ হলেও তা সহ্য করতে হবে, তবু আরও খারাপ কিছু না ঘটলেই ভালো।
‘খোজুয়া’ শব্দটি আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্য সম্পর্কে আমাদের সচেতন করে তোলে। এটি আমাদের ত্বকের সুস্থতা রক্ষা করার জন্য যত্ন নিতে প্রেরণা দেয়।