“কড়কড়া” শব্দটির সাথে আমরা সকলেই কমবেশি পরিচিত। বিশেষ করে রান্নাঘরে এই শব্দটির প্রয়োগ বেশি। কড়কড়া ভাত! শুনেই মনে হয় বাসি ভাত যা অনেক শক্ত এবং শুকনো। আসলে “কড়কড়া” শব্দটি দিয়ে আমরা মূলত এমন কিছু বোঝাই যা শক্ত, শুষ্ক এবং বাসি।
কড়কড়া শব্দের অর্থ কি?
কড়কড়া শব্দটি একটি বিশেষণ। এটি দিয়ে পর্যুষিত (অন্ন), বাসি (ভাত), শুষ্ক শক্ত ও বাসি (ভাত)-কে বোঝানো হয়।
শব্দের উৎপত্তি
মনে করা হয়, তৎসম বা সংস্কৃত শব্দ কর্কর(=কাঁকর) > কর্কর্ (র=ড়), কড়কড়+বাংলা আ=কড়কড়া; (হিন্দী) কড়া (বরিশাল ও চট্টগ্রামের উচ্চারণে ‘করকরা ভাত’ অর্থাৎ বাসি হয়ে শুকিয়ে কাঁকরের মতো শক্ত হয়েছে যে ভাত)।
কড়কড়া শব্দের সমার্থক শব্দ
- শক্ত
- রুক্ষ
- কঠিন
- খর্কুটে
- পর্যুষিত
কড়কড়া শব্দের ব্যবহার
কড়কড়া শব্দটি বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
- কড়কড়া ভাত
- রুটিগুলো কড়কড়া হয়ে গেছে
- সে কড়কড়া গলায় বললো
- কড়কড়া রোদ
কড়কড়া শব্দটির সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রবাদ-প্রবচন
- কড়কড়া ভাতে নুনের জ্বালা
এই প্রবাদটি দিয়ে বোঝানো হয় যে, যার অভাব আছে, তার উপর নানা রকম দুর্ভোগ আসে।
উপসংহার: আশা করি, “কড়কড়া” শব্দটি সম্পর্কে এই আলোচনা আপনাদের উপকারে আসবে।