কুহু শব্দটির সাথে আমরা সকলেই কমবেশি পরিচিত। কিন্তু এই শব্দটির ব্যবহার এবং এর সাথে জড়িত নানান তথ্য আমাদের অনেকেরই অজানা। আজকের এই পোস্টে আমরা জানবো কুহু শব্দটির অর্থ, এর ব্যবহার, এর সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রবাদ-প্রবচন এবং আরও অনেক কিছু।
কুহু শব্দের অর্থ
বাংলা ভাষায় কুহু শব্দের একাধিক অর্থ রয়েছে। কিছু প্রেক্ষাপটে এটি বিশেষ্য পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, আবার কিছু প্রেক্ষাপটে এটি অন্য শব্দের সাথে মিলিত হয়ে নতুন অর্থ প্রকাশ করে।
বিশেষ্য পদ হিসেবে কুহু
- কোকিলের কূজন: এটি কুহু শব্দের সবচেয়ে প্রচলিত অর্থ। বসন্তের আগমনে কোকিল পাখি যখন মধুর স্বরে ডাকে, তখন তাকে কুহু বলা হয়।
- আমাবস্যা: কিছু ক্ষেত্রে কুহু শব্দ দিয়ে আমাবস্যার রাতকেও বোঝানো হয়।
কুহু যুক্ত অন্যান্য শব্দ
- কুহুকন্ঠ: কোকিল পাখিকে কুহুকন্ঠ বলা হয়, কারণ তার কণ্ঠ থেকে কুহু ধ্বনি নির্গত হয়।
- কুহুতান: কোকিলের সুরেলা গানকে কুহুতান বলা হয়।
- কুহুরব: কোকিলের ডাককে কুহুরব বলা হয়।
কুহু শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ
কুহু শব্দের সঠিক ইংরেজি প্রতিশব্দ নির্ভর করে এর ব্যবহারের উপর।
- কোকিলের কূজন বোঝাতে “Cuckoo’s call” বা “Cuckooing” ব্যবহার করা হয়।
- আমাবস্যা বোঝাতে “New moon” ব্যবহার করা হয়।
কুহু শব্দের ব্যবহার
কবিতা, গান, সাহিত্য এবং সাধারণ কথোপকথনে কুহু শব্দটির ব্যবহার দেখা যায়।
কিছু উদাহরণ:
- “একে কুলকামিনী তাহে কুহু যামিনী” – গোবিন্দদাস।
- “কিরণে পূর্ণিমা ভ্রম কুহূর তামসী” -ঘনরাম চক্রবর্তী।
কুহু শব্দের সাথে সম্পর্কিত প্রবাদ-প্রবচন
কুহু শব্দকে কেন্দ্র করে বাংলা ভাষায় অনেক প্রবাদ-প্রবচন রয়েছে।
যেমন:
- কুহু ডাকলে গ্রীষ্মের শুরু: এই প্রবাদটি দিয়ে বোঝানো হয় যে, কোকিলের ডাক শুনলে বোঝা যায় গ্রীষ্মকাল শুরু হয়ে গেছে।
পরিশেষে বলা যায়, কুহু শব্দটি বাংলা ভাষার একটি গুরুত্বপূর্ণ শব্দ যা আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।