“কিব্তী” শব্দটির সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। প্রাচীন মিশরের ইতিহাসের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এই শব্দটি। কিন্তু “কিব্তী” বলতে আমরা আসলে কাদের বুঝি, তাদের ইতিহাস কিংবা এই শব্দটির সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই। আজ আমরা জানবো “কিব্তী” শব্দটির অর্থ, ব্যবহার এবং এর সাথে সম্পর্কিত কিছু তথ্য।
কিবতি শব্দের অর্থ কি?
“কিব্তী” মূলত একটি আরবি শব্দ। বাংলায় এই শব্দটি বিশেষ্য পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
- **বাংলা উচ্চারণ:** কিব্তী (kibti)
- **পদের নাম:** বিশেষ্য
- **বাংলা অর্থ:** মিশরের প্রাচীন জাতিবিশেষ
- **ইংরেজি অর্থ:** Copt/ Coptic (An ethnic group descended from ancient Egyptians)
কিবতি শব্দের ব্যবহার
কিব্তী শব্দটি সাধারণত লিখিত ভাষায় ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে প্রাচীন মিশরের ইতিহাস, সভ্যতা, ধর্ম ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনার সময় এই শব্দটির প্রয়োগ দেখা যায়।
উদাহরণ:
- ফেরাউন সকলকে গোলাম বাঁদী করিয়া কিব্তীদিগের মধ্যে বিলাইয়া দিলেন। (কাজী ইমদাদুল হক)
- কিব্তীরা ছিলেন প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার অন্যতম ধারক।
- কিব্তী ভাষা প্রাচীন মিশরীয় ভাষার একটি উত্তরাধিকার।
কিবতি শব্দের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্য
- কিব্তীরা মূলত খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ছিলেন।
- আরবি বিজয়ের পর অনেক কিব্তী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
- বর্তমানে মিশরে কিব্তী খ্রিস্টানদের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি।
আশা করি এই পোস্টটি আপনাদের “কিব্তী” শব্দটি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিতে সাহায্য করবে।