‘কানি’ শব্দটির সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। ছেঁড়া কাপড়ের টুকরোকে আমরা প্রায়শই ‘কানি’ বলে থাকি। তবে এই শব্দটির ব্যবহার কেবল এই অর্থেই সীমাবদ্ধ নয়। আজ আমরা ‘কানি’ শব্দটির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করব।
কানি শব্দের অর্থ
‘কানি’ মূলত একটি বাংলা বিশেষ্য পদ। এটির দুটি প্রধান অর্থ প্রচলিত আছে:
- ন্যাকড়া: এটি ‘কানি’ শব্দের সর্বাধিক প্রচলিত অর্থ। ছেঁড়া, ছিঁড়ে যাওয়া কাপড়ের খণ্ড বা টুকরোকে ‘কানি’ বলা হয়।
- প্রান্ত: কাপড় বা অন্য কোন বস্তুর ছেঁড়া অংশের প্রান্ত বা ধারকে ‘কানি’ বলা হয়ে থাকে।
কানি শব্দের উৎপত্তি
‘কানি’ শব্দটির উৎপত্তি সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা না গেলেও, ধারণা করা হয় এটি সংস্কৃত ‘নক্তক’ শব্দ থেকে এসেছে। সংস্কৃত ‘নক্তক’ থেকে বাংলায় ‘ন্যাকরা’ এবং পরবর্তীকালে ‘কানি’ শব্দের রূপান্তর হয়েছে।
কানি শব্দের ব্যবহার
বাংলা সাহিত্য এবং দৈনন্দিন জীবনে ‘কানি’ শব্দটির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। কিছু উদাহরণ:
- সাহিত্যে: “পাট কাপড়ের কানি দিয়া গা গলা মুছাইয়া” – দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার।
- প্রবাদ-প্রবচন: “ন্যাকড়া কানি দিয়ে ঘর মুছলে ঘর পরিষ্কার হয় না।”
- দৈনন্দিন কথায়: “কাপড়টা একেবারে কানি হয়ে গেছে, আর পরার উপায় নেই।”
কানি শব্দের সমার্থক শব্দ
কানি শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হল:
- ন্যাকড়া
- চিথরা
- ছিন্নপট
- ছেঁড়া
- ফালি
- টুকরো
কানি শব্দের ইংরেজি অনুবাদ
‘কানি’ শব্দের কোন সরাসরি ইংরেজি অনুবাদ না থাকলেও, প্রয়োগের ক্ষেত্র অনুযায়ী নিম্নলিখিত শব্দগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে:
- Rag
- Scrap
- Tatter
- Shred
- Fragment
- Edge
- Fringe
পরিশেষে বলা যায়, ‘কানি’ শব্দটি যদিও একটি সাধারণ শব্দ, তবুও বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিতে এর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। এই ধরনের শব্দের মাধ্যমেই আমাদের ভাষা এবং সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে।
