কাইকুতু শব্দের অর্থ কি | কাইকুতু শব্দের সমার্থক শব্দ | কাইকুতু শব্দের ব্যবহার

“কাইকুতু দাও কেন?” — অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখায় ব্যবহৃত এই বাক্যটি আমাদের সকলেরই কমবেশি পরিচিত। শৈশবের দুষ্টামিতে একে অপরকে ‘কাইকুতু’ দেওয়ার স্মৃতি কার না আছে? কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন এই ‘কাইকুতু’ শব্দটির আসল অর্থ কি?

কাইকুতু শব্দের অর্থ কি?

‘কাইকুতু’ একটি বিশেষ্য পদ। বাংলায় এই শব্দটি দিয়ে সুড়সুড়ি বোঝানো হয়। অর্থাৎ, যখন আমরা কারো শরীরের কোন স্পর্শকাতর স্থানে আঙুলের ডগা দিয়ে হালকা ভাবে স্পর্শ করি এবং তাতে যে অনুভূতি হয়, তাকেই ‘কাইকুতু’ বলা হয়।

কাইকুতু শব্দের উৎস

‘কাইকুতু’ শব্দটি এসেছে ‘কাতুকুতু’ থেকে। তৎসম শব্দ ‘কাতুকুতু’ থেকে অপভ্রংশের মাধ্যমে ‘কাউকুতু’ এবং পরবর্তীতে ‘কাইকুতু’ শব্দের উৎপত্তি হয়।

কাইকুতু শব্দের ব্যাকরণগত ধরণ

  • পদের নাম: বিশেষ্য
  • বাংলায় পদ: কাইকুতু
  • ইংরেজিতে পদ: Tickle

কাইকুতু শব্দের সমার্থক শব্দ

‘কাইকুতু’ শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হল:

  • গুদগুদি
  • কুটকুট
  • কিলকিলি

কাইকুতু শব্দের ব্যবহার

বাংলা সাহিত্যে ‘কাইকুতু’ শব্দটির ব্যবহার দেখা যায়। নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হল:

  • “আমার পিঠে কাইকুতু লাগছে।”
  • “ছোট বাচ্চাদের খুব কাইকুতু লাগে।”

এছাড়াও, ‘কাইকুতু’ শব্দটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

  • আমরা যখন কারো সাথে হাসি ঠাট্টা করি, তখন বলতে পারি, “তোমাকে কি আবার কাইকুতু দিচ্ছে?”

‘কাইকুতু’ শব্দটি যদিও একটি সাধারণ শব্দ, তবুও এটি আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

See also  কড়কচ শব্দের অর্থ কি | কড়কচ শব্দের সমার্থক শব্দ | কড়কচ শব্দের ব্যবহার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *