‘কষিত’ শব্দটির সাথে আমরা কমবেশি সকলেই পরিচিত। কিন্তু শব্দটির প্রকৃত অর্থ এবং ব্যবহার সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই। এই পোস্টে আমরা ‘কষিত’ শব্দটির অর্থ, ব্যবহার, এবং এর সাথে সম্পর্কিত আরও কিছু তথ্য জানবো।
কষিত শব্দের অর্থ কি?
বাংলা ভাষায় ‘কষিত’ শব্দটি একটি বিশেষণ। ‘কষিত’ শব্দটির দুটি প্রধান অর্থ প্রচলিত আছে:
- কষ্টিপাথরে ঘষে পরীক্ষা করা।
- খাঁটি, নিখাদ, অমিশ্রিত।
উদাহরণ:
- রাজার মুকুটটি কষিত হীরক খচিত ছিল। (অর্থ: মুকুটটিতে খাঁটি হীরা ব্যবহার করা হয়েছিল)।
- সোনার গহনা কিনতে হলে আগে তা কষিত কিনা পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। (অর্থ: সোনা খাঁটি কিনা পরীক্ষা করা উচিত)।
কষিত শব্দের ব্যুৎপত্তি
‘কষিত’ শব্দটি তৎসম। সংস্কৃত ‘√কষ্’ (ঘষা) ধাতু এবং ‘ত’ (ক্ত) প্রত্যয় যুক্ত হয়ে ‘কষিত’ শব্দটি গঠিত।
কষিত শব্দের সমার্থক শব্দ
‘কষিত’ শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হলো:
- পরীক্ষিত
- খাঁটি
- নিখাদ
- শুদ্ধ
- অমিশ্রিত
- অকৃত্রিম
কষিত শব্দের ব্যবহার
‘কষিত’ শব্দটি বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়।
- সোনা-রূপার ক্ষেত্রে: সোনা বা রূপার খাঁটি অবস্থা বোঝাতে ‘কষিত’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়। যেমন: কষিত সোনা, কষিত রূপা।
- ভাবার্থে: কোন কিছুর খাঁটি বা অকৃত্রিম অবস্থা বোঝাতেও ‘কষিত’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। যেমন: কষিত ভালোবাসা, কষিত বন্ধুত্ব।
কষিত শব্দ ব্যবহার করে কিছু বাক্য
- সে সবসময় কষিত সত্য কথা বলতে পছন্দ করে।
- তার কণ্ঠে ভেসে আসা সুর ছিলো অতি কষিত।
- সত্যিকারের বন্ধুত্ব হয় কষিত এবং অটুট।
আশা করি ‘কষিত’ শব্দটি সম্পর্কে আপনারা স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।