‘কলুষ’ শব্দটি বাংলা ভাষার একটি প্রাচীন এবং অর্থবহ শব্দ। এই শব্দটির মধ্যে লুকিয়ে আছে নীতিবোধ, পবিত্রতা এবং অপবিত্রতার এক গভীর ধারণা। এই ব্লগপোস্টে আমরা ‘কলুষ’ শব্দটির অর্থ, ব্যবহার, এবং এর সাথে জড়িত নানান দিক নিয়ে আলোচনা করবো।
কলুষ শব্দের অর্থ কি?
‘কলুষ’ শব্দটি মূলত সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে। এর মূল ধাতু হল ‘কল্’, যার অর্থ হল ‘কালো’ বা ‘কলঙ্কিত’। ‘কলুষ’ শব্দটি বিশেষ্য এবং বিশেষণ – উভয়ভাবেই ব্যবহৃত হতে পারে।
বিশেষ্য হিসেবে ‘কলুষ’ শব্দের অর্থ:
- পাপ
 - দোষ
 - মলিনতা
 - আবিলতা
 
বিশেষণ হিসেবে ‘কলুষ’ শব্দের অর্থ:
- পাপ-মলিন
 - আবিল
 
কলুষ শব্দের সমার্থক শব্দ
‘কলুষ’ শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হল:
- অপবিত্র
 - দূষিত
 - কলঙ্কিত
 - মলিন
 - পাপী
 - দোষী
 
কলুষ শব্দের ব্যবহার
‘কলুষ’ শব্দটি বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হতে পারে।
কিছু উদাহরণ:
- তার হৃদয় কলুষ দিয়ে ভরা।
 - নদীর জল কলুষিত হয়ে পড়েছে।
 - কলুষ কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত।
 - সমাজ থেকে কলুষ দূর করতে হবে।
 
কলুষ শব্দটির সাথে সম্পর্কিত প্রবাদ-প্রবচন
- যার নাই ঈমান, তার নাই দয়া, নাই মান। (যার অন্তর কলুষ, তার কোন নীতিবোধ থাকে না।)
 
‘কলুষ’ শব্দটি কেবল একটি শব্দ নয়, এটি আমাদের নীতিবোধ, আচার-আচরণ, এবং সমাজের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধের কথা মনে করিয়ে দেয়। এই শব্দটির মাধ্যমে আমরা পবিত্রতা এবং নীতিবোধের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে পারি।
