“সেই বাহু এই লোহার সমান ওই সেই করবাল! তুর্কি-শোণিত মেহেদির রঙে নখ যে এখনো লাল!” -মোহিতলাল মজুমদারের এই উর্ত্তेजপূর্ণ উক্তিতে “করবাল” শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে এক বীররসে উদ্দীপ্ত পরিবেশে। কিন্তু এই করবাল শব্দটির অর্থ কী? বাংলা ভাষার একটি প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী শব্দ “করবাল”। এই শব্দটির মধ্যে লুকিয়ে আছে ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সাহিত্যের সৌন্দর্য। আজ আমরা এই ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে “করবাল” শব্দটির অর্থ, ব্যবহার, এবং এর সাথে জড়িত কিছু তথ্য জানার চেষ্টা করবো।
করবাল শব্দের অর্থ কি?
“করবাল” শব্দটি মূলত একটি তৎসম শব্দ যা “কর” এবং “বল” এই দুটি ধাতু থেকে সৃষ্টি হয়েছে। “কর” ধাতুর অর্থ হল হাত এবং “বল” ধাতুর অর্থ হল শক্তি। অর্থাৎ করবাল শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল “হাতের শক্তি”। কিন্তু “করবাল” বলতে সাধারণত একটি ধারালো অস্ত্র বোঝায়।
করবাল শব্দের সমার্থক শব্দ
করবাল শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হল:
- তরবারি
- খড়্গ
- আসি
- কৃপাণ
- চন্দ্রহাস
করবাল শব্দের ব্যবহার
“করবাল” শব্দটি সাধারণত সাহিত্য, কবিতা, গান ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে যুদ্ধের বর্ণনা, বীরত্বের গাথা, রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে এই শব্দটির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
কিছু উদাহরণঃ
- “করবাল বের করে তিনি বললেন, আমি আজ তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে মরবো।”
- “রাজার হাতে ঝলমল করছে সোনার হাতলওয়ালা করবাল।”
- “করবালের ধারে কাটা পড়ে অসংখ্য শত্রুর মস্তক।”
করবাল শব্দটির সাথে সম্পর্কিত কিছু তথ্য
- ব্যুৎপত্তি: তৎসম শব্দ, সংস্কৃত ‘করবাল’ থেকে।
- পদের নাম: বিশেষ্য
- বাংলা উচ্চারণ: [korobal]
- ইংরেজি অর্থ: Sword, Scimitar
“করবাল” শুধু একটি শব্দ নয়, এটি একটি প্রতীক, একটি ইতিহাস। এই শব্দটির মাধ্যমে আমরা আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির ধারাবাহিকতার প্রমাণ পাই।