‘কনকন’ – শব্দটি শুনলেই মনে ক্ষীণ, তীক্ষ্ণ ধাতব একটা শব্দের চেতনা আসে। রোদের আলোয় ঝিলমিল করে ওঠা মেয়েদের হাতের চুড়ি, নুপুর থেকে এই কনকন শব্দটির উৎপত্তি। তবে শুধু ধাতব শব্দ বোঝাতেই নয়; ‘কনকন’ শব্দটি কাব্যের চরণে ব্যবহার করে ভাষা কে কত সুন্দর করে তোলা যায় তা রবীন্দ্রনাথের কবিতা পড়লেই বোঝা যায়।
কনকন শব্দের অর্থ কি?
কনকন একটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ। এটি ক্ষীণ, তীক্ষ্ণ এবং টুং টুং ধরণের আওয়াজ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। অলঙ্কার পরিধানের কারনে যে ধাতব শব্দের সৃষ্টি হয় তাকে আমরা প্রায়শই ‘কনকন’ শব্দ দিয়ে বুঝিয়ে থাকি।
কনকন শব্দের সমার্থক শব্দ
কিছু “কনকন” শব্দের সমার্থক শব্দ হল:
- ঝুমঝুম
- ঝনঝন
- টুং টাং
- ছনছন
কনকন শব্দের ব্যবহার
কনকন শব্দটি বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা যায়। নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হল:
- মেয়েটির হাতের চুড়ি গুলো কনকন করে শব্দ করছিল।
- ঝড়ের বাতাসে টিনের চাল কনকন করে উঠলো।
- মন্দিরের ঘন্টা ধীরে ধীরে কনকন করে বাজছে।
- “কেন বাজাও কাঁকন কনকন কত ছলভরে” – (কবিতাংশ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)।
কনকন শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ
ইংরেজিতে “কনকন” শব্দের কোন সঠিক প্রতিশব্দ নেই। তবে, এর কাছাকাছি অর্থ প্রকাশ করে এমন কিছু শব্দ হল:
- Jingle
- Clink
- Tinkle
- Chink
উপসংহার
“কনকন” একটি সুন্দর এবং চিত্রকল্প সৃষ্টিকারী বাংলা শব্দ। ধ্বন্যাত্মক হওয়া সত্ত্বেও এটি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে।