‘কদর’ শব্দটির রয়েছে গভীর অর্থ ও মর্ম। এই একটি শব্দ দিয়ে আমরা মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান, মূল্যবোধ এবং মর্যাদা প্রকাশ করে থাকি। শুধু তাই নয়, ‘কদর’ ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই লেখায় আমরা ‘কদর’ শব্দটির অর্থ, ব্যবহার, এবং এর সাথে সম্পর্কিত নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
কদর শব্দের অর্থ কি?
‘কদর’ একটি আরবি উৎসারিত শব্দ। বাংলা ভাষায় এটি বিশেষ্য এবং বিশেষণ — উভয় পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বিশেষ্য হিসেবে কদর
- সম্মান, মূল্য, মর্যাদা: যেমন: “সকল মানুষের কদর করা উচিত।”
- সমাদর, যত্ন, খাতির: যেমন: “বাবা-মায়ের কদর জীবনে সবচেয়ে বেশি করা উচিত।”
- শবেকদর: ইসলাম ধর্মে রমজান মাসের শেষ দশদিনের যেকোনো রাতে, বিশেষ করে ২৭শে রমজানের রাত্রিকে ‘শবেকদর’ বলা হয়।
বিশেষণ হিসেবে কদর
গুণগ্রাহী, সমঝদার: যেমন: “তিনি একজন কদরদান মানুষ।”
কদর শব্দের সমার্থক শব্দ
কদর শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হলো:
- মূল্য
- মান
- সম্মান
- মর্যাদা
- গুরুত্ব
- খাতির
- সমাদর
- আদর
কদর শব্দের ব্যবহার
কিছু বাক্যের মাধ্যমে আমরা দেখে নিতে পারি কিভাবে ‘কদর’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়:
- সকলের কথা শুনতে হবে, কিন্তু কদর করতে হবে ভালো কথা।
- বন্ধুত্বের কদর জীবনে খুব বেশি।
- সময়ের কদর করতে শেখো।
- শিক্ষকের কদর একজন শিক্ষার্থীর জন্য অপরিসীম।
- যারা অন্যের কদর করে না, তারা জীবনে বহু কষ্ট পায়।
কদর শব্দটির সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রবাদ-প্রবচন
- কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ, পাকলে করে ঠাস ঠাস।
- যার নেই তার কে রাখে, যার আছে তার কে টানে?
- থাকতে বলে না কেউ, গেলে কান্দে সকলেই।
‘কদর’ শব্দটি আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই শব্দটির মাধ্যমে আমরা মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং মূল্যবোধ প্রকাশ করে থাকি।