আমরা প্রায় সকলেই ‘কচুরি’ শব্দটির সাথে পরিচিত। মুখরোচক এই খাবারটি আমাদের জিভে জল এনে দেয়। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন, ‘কচুরি’ শব্দটির আসল অর্থ কী? কীভাবে এটি আমাদের ভাষায় এসেছে? চলুন আজ জেনে নিই ‘কচুরি’ শব্দটি সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।
কচুরি শব্দের উৎপত্তি ও অর্থ
‘কচুরি’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ‘কচরিকা’ থেকে। এর তৎসম রূপ হলো ‘কচ্চরিআ’। ধারণা করা হয়, সময়ের পরিক্রমায় ধ্বনিতাত্ত্বিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ‘কচ্চরিআ’ থেকে ‘কচুরি’ শব্দটির উৎপত্তি। মূলত ময়দা দিয়ে তৈরি ঘিয়ে ভাজা, মুখরোচক, ফাঁপা ও গোলাকার খাবার বিশেষকে ‘কচুরি’ বলা হয়।
কচুরি শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ
ইংরেজিতে ‘কচুরি’-র কোন সঠিক প্রতিশব্দ নেই। তবে, ‘Fried Puffed Bread’, ‘Lentil Fritters’, ‘Savory Fried Pastry’ ইত্যাদি নামে এটি পরিচিত।
কচুরি শব্দের ব্যবহার
বাংলা সাহিত্যে, কথোপকথনে, রান্নার বইয়ে – সর্বত্রই ‘কচুরি’ শব্দটির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
- উদাহরণ:
- “আজ সকালের নাস্তায় গরম গরম কচুরি আর আলুর তরকারি খুব মজা করে খেয়েছি।”
- “ঈদের দিন সকালে নানা রকমের পোলাও, পাশাপাশি থাকে সুস্বাদু কচুরি।”
কচুরি শব্দের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য শব্দ
- সমার্থক শব্দ: ফুসকা, লুচি
- বিপরীতার্থক শব্দ: কোনো স্থির বিপরীতার্থক শব্দ নেই।
কিছু প্রবাদ-প্রবচন:
- কচুরি আর জিলাপি, খেলেই মন ভরে যায়। (এটি আসলে কোন প্রবাদ নয়, বরং কচুরি ও জিলাপির প্রতি বাঙালির প্রিয়তার প্রকাশ।)
এই ছিল ‘কচুরি’ শব্দ সম্পর্কে কিছু তথ্য। আশা করি এই পোস্টটি আপনার জ্ঞান আহরণে সহায়তা করবে।