‘কচলাকচলি’! শব্দটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে হাটবাজারের ছবি, যেখানে ক্রেতা-বিক্রেতার তাঁর নিজের মত করে দর কষাকষি। হ্যাঁ, এই দর কষাকষি, এই টানাটানি, যুক্তিতর্কের ই নাম ‘কচলাকচলি’।
‘কচলাকচলি’ শব্দের অর্থ কি?
‘কচলাকচলি’ একটি বিশেষ্য পদ। এটি দ্বারা বোঝায় দুই বা ততোধিক পক্ষের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে টানাটানি বা জোর দেওয়া। এটি অনেটা ‘বিতর্ক’ বা ‘তর্ক-বিতর্ক’-এর মত, তবে এখানে সাধারণত কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় না। বরং, ‘কচলাকচলি’ হয় মূলত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে, যেমন — বাজারে দর দাম কষাকষি, ছোট কোনো বিষয় নিয়ে ঝগড়া ইত্যাদি।
‘কচলাকচলি’ শব্দের ব্যুৎপত্তি:
‘কচলাকচলি’ শব্দটি দুটি শব্দের যোগে গঠিত: ‘কচলা’ ও ‘কচলি’। ‘কচলা’ শব্দটি ‘কচ্’ ধাতু থেকে উৎপন্ন, যার অর্থ ‘চাপ দেওয়া’ বা ‘জোর করা’। অন্যদিকে, ‘কচলি’ হল ‘কচলা’ শব্দের একটি অনুকার শব্দ।
‘কচলাকচলি’ শব্দের সমার্থক শব্দ:
- টানাটানি
- দর কষাকষি
- বচসা
- তর্ক
- ঝগড়া
- খোঁচাখুঁচি
‘কচলাকচলি’ শব্দের ব্যবহার:
বাংলা ভাষায় ‘কচলাকচলি’ শব্দটি ব্যবহার করা হয় এমন কোনো পরিস্থিতিকে বোঝাতে যেখানে দুই বা ততোধিক পক্ষের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে টানাটানি বা জোর দেওয়া হয়। কিছু উদাহরণ নিচে দেওয়া হল:
- বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে কচলাকচলি চলছে।
- ভাই-বোনের মধ্যে সারাক্ষণ কচলাকচলি লেগেই থাকে।
- রাজনীতিতে কচলাকচলি নতুন কোনো বিষয় নয়।
‘কচলাকচলি’ শব্দটির সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রবাদ-প্রবচন:
- যত কচলাকচলি, তত মধুর সেলি।
- কচলাকচলি ছাড়া কোনো কাজ হয় না।
কচলাকচলি শব্দ সম্পর্কে কিছু তথ্য:
- পদের নাম (বাংলায়): বিশেষ্য
- পদের নাম (ইংরেজিতে): Noun
- বাংলা অর্থ: Haggling, bargaining, bickering
- ইংরেজি অর্থ: Haggling, bargaining, bickering
‘কচলাকচলি’ শব্দটি বাংলা ভাষার একটি প্রাণবন্ত শব্দ। এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।