বাংলা ভাষার একটি সুন্দর শব্দ “ককুঞ্জল”। শব্দটি শুনেই মনে ভেসে ওঠে এক অদ্ভুত পাখির কথা, যার জলের প্রতি তীব্র আকর্ষণ, অথচ সে পান করে শুধুই মেঘের জল! আজ আমরা জানবো এই অসাধারণ শব্দটি সম্পর্কে।
ককুঞ্জল শব্দের অর্থ কি?
“ককুঞ্জল” শব্দটি মূলত চাতক পাখিকে নির্দেশ করে। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, এই পাখি কেবল মেঘের জল পান করে এবং অন্য কোনো উৎস থেকে জল পান করে না।
ককুঞ্জল শব্দের উৎপত্তি
“ককুঞ্জল” শব্দটি দুটি অংশ নিয়ে গঠিত: “ককুঞ” এবং “জল”। “ককুঞ” হল ধ্বন্যাত্মক শব্দ, যা চাতক পাখির ডাকের অনুকরণে তৈরি। “জল” একটি তৎসম শব্দ যার অর্থ পানি। অর্থাৎ, চাতক পাখির ডাক ও তার জল পানের অভ্যাসের উপর ভিত্তি করেই “ককুঞ্জল” শব্দটির উৎপত্তি।
ককুঞ্জল শব্দের সমার্থক শব্দ
- চাতক
- মেঘদূত
- পিয়াসী
ককুঞ্জল শব্দের ব্যবহার
- বাংলা সাহিত্য: কবিতা ও গানে “ককুঞ্জল” শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে তীব্র আকাঙ্ক্ষা, অপেক্ষা এবং অতৃপ্ত তৃষ্ণার প্রতীক হিসেবে।
- দৈনন্দিন জীবন: যে ব্যক্তি অসম্ভবের প্রত্যাশা করে তাকে “ককুঞ্জলের মতো তৃষ্ণার্ত” বলা হয়ে থাকে।
ককুঞ্জল শব্দটির সাথে সম্পর্কিত প্রবাদ-প্রবচন
- “ককুঞ্জলের জল খাওয়া”
অর্থ: অসম্ভব বস্তু পাওয়ার আশা করা।
“ককুঞ্জল” শব্দটি কেবল একটি পাখির নাম নয় বরং বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।