“কইসন” শব্দটির সাথে আমরা সকলেই কমবেশি পরিচিত। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কথা বলার সময়, লেখালেখিতে, এমনকি গানে-কবিতায় এই শব্দটির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। এই শব্দটি মূলতঃ “কিরূপ” বা “কেমন” অর্থ প্রকাশ করে।
কিভাবে ব্যবহার করবেন “কইসন” শব্দটি?
এই শব্দটি মূলতঃ বিশেষণ এবং ক্রিয়া বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বিশেষণ হিসেবে:
কোন কিছুর অবস্থা বা ধরণ বোঝাতে যেমনঃ
- আজ তুমি কইসন পোশাক পরেছো?
- ওর লেখা কইসন হয়েছে দেখো।
ক্রিয়াবিশেষণ হিসেবে:
কোন ক্রিয়ার ধরণ বোঝাতে যেমনঃ
- তুমি কইসনে কথা বলছো বুঝতে পারছি না।
- কইসনে যায়ব যমুনা তীর। (বিদ্যাপতি)
“কইসন” শব্দের ইতিহাস
“কইসন” শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত “কীদৃশ(ন)” শব্দ থেকে। ধারাবাহিক রূপান্তরের মাধ্যমে “কীদৃশ(ন)”> “কইসন” >“কৈছ(ন)”- এই রূপ পরিগ্রহ করেছে।
কইসনের সমার্থক শব্দ
“কইসন” শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হলোঃ
- কীভাবে
- কি রকম
- কেমন করে
- কিরূপে
“কইসন” শব্দ ব্যবহার করে কিছু প্রবাদ-প্রবচন
- যে রাঁধে সে জানে, কইসন লবণ কইসন জল।
- দেখতে কইসন, খেতে কইসন ।
পরিশেষে বলা যায়, “কইসন” শব্দটি বাংলা ভাষার একটি গুরুত্বপূর্ণ শব্দ। এই শব্দটির সঠিক ব্যবহার আমাদের ভাষাকে সমৃদ্ধ করে তোলে।