বাংলা ভাষার রুচির এক অনন্য রকমের বৈচিত্র্য লুকিয়ে আছে এর শব্দভাণ্ডারে। ‘খয়না’ এই শব্দটিও এমনই একটি শব্দ, যেটির অর্থ, ব্যবহার এবং শব্দগত পরিচয় আমাদের ভাষা সম্পর্কে আরও জানতে সাহায্য করে।
খয়না শব্দের অর্থ কি?
‘খয়না’ শব্দটির অর্থ অফোটা খই। আমরা জানি, ধানকে ভেজে খই তৈরি করা হয়। খই তৈরির সময় কিছু ধানের বীজ খইয়ের মতো না হয়ে অপরিণত থাকে। এই অপরিণত ধানগুলোকেই ‘খয়না’ বলা হয়।
খয়না শব্দের সমার্থক শব্দ
‘খয়না’ শব্দের সমার্থক শব্দ হলো ‘কুঁচকি‘। এই শব্দটিও অপরিণত ধান বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
খয়না শব্দের ব্যবহার
‘খয়না’ শব্দটি প্রধানত খাদ্য সংক্রান্ত প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয়। খই তৈরি হওয়ার পর অবশিষ্ট অপরিণত ধান বোঝাতে ‘খয়না’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
উদাহরণ
- খই ভেজে দেখলাম, অনেক খয়না বেরিয়েছে।
- খয়না খেতে ভালো লাগে না।
শব্দটির সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য বাংলা শব্দ
‘খয়না’ শব্দটির সাথে ‘খই’, ‘ধান‘ এবং ‘কুঁচকি’ শব্দগুলি সম্পর্কিত।
শব্দটির সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রবাদ-প্রবচন
‘খয়না’ শব্দের সাথে সরাসরি কোন প্রবাদ-প্রবচন নাই। তবে ‘কুঁচকি’ শব্দটির সাথে “কুঁচকি গাছে বড় হয় না” এই প্রবাদটি যুক্ত। এটি অপরিণত ব্যক্তি বা অপ্রাপ্তবয়স্ক অবস্থা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
খয়না শব্দটির উৎপত্তি
‘খয়না’ শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত ভাষা থেকে। সংস্কৃত ভাষায় ‘খদিকা’ শব্দটি খই বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। ‘খদিকা’ এর ‘খ’ এবং বাংলা ভাষার ‘না’ যোগে ‘খয়না’ শব্দটির জন্ম।
‘খয়না’ শব্দটি দৈনন্দিন ভাষায় সীমিতভাবে ব্যবহৃত হয়। তবে খাদ্য সংক্রান্ত প্রসঙ্গে এই শব্দটির গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না।