“খোঁচ” শব্দটি বাংলা ভাষায় একটি বহুমুখী শব্দ, যা বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। এই শব্দটির অর্থ ও ব্যবহারের বিস্তার সম্পর্কে জানতে হলে, এর মূল অর্থ এবং বিভিন্ন প্রসঙ্গে ব্যবহারের ধরণ বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।
খোঁচ শব্দের অর্থ
- কন্টক; কাঁটা:
এই অর্থে খোঁচ শব্দটি প্রকৃতির কন্টক বা কাঁটাকে বোঝায়, যা কোনো কিছুতে আঘাত করতে পারে। যেমন – “গাছে খোঁচে লাগলো”।
- সুচের মতো তীক্ষ্ণাগ্র:
সুচ বা সূঁচ এর মতো তীক্ষ্ণ ও লম্বা আকৃতির কোনো বস্তুকেও “খোঁচ” বলা হয়। যেমন – “সুচের খোঁচে আঙুল ফুলে গেল”।
- কোঁচ:
“খোঁচ” শব্দটি কোঁচ, অর্থাৎ কিছু দিয়ে ধরে রাখা, এমন অর্থেও ব্যবহৃত হয়। যেমন – “কাগজটা কোঁচ দিয়ে ধরে রাখো”।
- সামান্য ঝামেলা বা ঝঞ্ঝাট:
কোনো সামান্য ঝামেলা বা ঝঞ্ঝাট কেও “খোঁচ” বলা হয়। যেমন – “এই কাজটা একটা খোঁচ”।
- কুঞ্চন (কপালের খোঁচ):
কপালের কুঞ্চন, অর্থাৎ কপাল চুঁচকানোর কাজকে “খোঁচ” বলা হয়। যেমন – “সে কপালে খোঁচ দিয়ে বলল”।
- কোণাকৃতি ফাঁকা:
কোণাকৃতি ফাঁকা জায়গা কেও “খোঁচ” বলা হয়। যেমন – “এই বাড়ির কোণে একটা খোঁচ জায়গা আছে”।
খোঁচ শব্দের সমার্থক শব্দ
- কাঁটা
- কন্টক
- সূঁচ
- কোঁচ
- ঝামেলা
- ঝঞ্ঝাট
- কুঞ্চন
- ফাঁকা
খোঁচ শব্দের ব্যবহার
“খোঁচ” শব্দটি বাংলা ভাষায় বিভিন্ন প্রসঙ্গে ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ:
- প্রকৃতির কন্টক: “গাছে খোঁচে লাগলো”
- সুচের তীক্ষ্ণাগ্র: “সুচের খোঁচে আঙুল ফুলে গেল”
- কোঁচ: “কাগজটা কোঁচ দিয়ে ধরে রাখো”
- ঝামেলা: “এই কাজটা একটা খোঁচ”
- কুঞ্চন: “সে কপালে খোঁচ দিয়ে বলল”
- কোণাকৃতি ফাঁকা: “এই বাড়ির কোণে একটা খোঁচ জায়গা আছে”
খোঁচ শব্দের উৎপত্তি
“খোঁচ” শব্দটির উৎপত্তি সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। কিছু ভাষাবিদের মতে “খোঁচ” শব্দটি সংস্কৃত শব্দ “কুন্ত” থেকে উদ্ভূত হয়েছে। আবার অন্যদের মতে “খোঁচ” শব্দটি সংস্কৃত শব্দ “সুচি” থেকে উদ্ভূত হয়েছে।
খোঁচ শব্দের সাথে সম্পর্কিত প্রবাদ-প্রবচন
“খোঁচ” শব্দটির সাথে সম্পর্কিত বেশ কিছু প্রবাদ-প্রবচন রয়েছে। যেমন –
- “খোঁচ দিলে কাঁটা বেরিয়ে আসে।”
- “খোঁচ না দিলেও চিৎকার করে।”
এই প্রবাদ-প্রবচনগুলো জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতির উপর আলোকপাত করে।
“খোঁচ” শব্দটি বাংলা ভাষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ শব্দ, যা বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার করা হয়। এই শব্দটির ব্যবহার জানা বাংলা ভাষার জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করে।