বাংলা ভাষায় ‘খোঁচা’ শব্দটি বহুমুখী অর্থ বহন করে। এটি বিশেষণ এবং বিশেষ্য উভয় ভূমিকাতেই ব্যবহৃত হয়। ‘খোঁচা’ শব্দটির অর্থ, ব্যবহার এবং এর সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য শব্দ সম্পর্কে এই ব্লগ পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
খোঁচা শব্দের অর্থ
বাংলা ভাষায় ‘খোঁচা’ শব্দটির অর্থ নির্ভর করে এর ব্যবহারের উপর।
বিশেষণ হিসেবে ‘খোঁচা’
- খোঁচবিশিষ্ট; তীক্ষ্ণমুখ: উদাহরণস্বরূপ, “খোঁচা খোঁচা দাড়িতে ভরে উঠেছে।”
- তীক্ষ্ণ; ধারালো: উদাহরণস্বরূপ, “খোঁচা খোঁচা কথা।”
বিশেষ্য হিসেবে ‘খোঁচা’
- বস্তুর আঘাত: উদাহরণস্বরূপ, “কাঁটার খোঁচা।”
- কোনো কিছুর আগা দিয়ে আঘাত: উদাহরণস্বরূপ, “লাঠির খোঁচা।”
- তীক্ষ্ণ আঘাত: উদাহরণস্বরূপ, “কথার খোঁচা।”
- আঁচড়: উদাহরণস্বরূপ, “কলমের খোঁচা।”
খোঁচা শব্দের সমার্থক শব্দ
- তীক্ষ্ণ
- ধারালো
- আঘাত
- প্রহার
- আঁচড়
- কটাক্ষ
- বিঁধে
- বিঁধান
খোঁচা শব্দের ব্যবহার
‘খোঁচা’ শব্দটি বাংলা ভাষায় বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হয়।
সাহিত্যে ‘খোঁচা’
সাহিত্যে ‘খোঁচা’ শব্দটি প্রায়শই ব্যবহৃত হয় যখন কোনো চরিত্রের তীক্ষ্ণ মন্তব্য, কটাক্ষ বা আঘাত করার কথা বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখায় “সমালোচনা করতে হবে, খোঁচাখোঁচি দিতে হবে” বাক্যটি ‘খোঁচা’ শব্দের ব্যবহারের একটি স্পষ্ট উদাহরণ।
প্রতিদিনের জীবনে ‘খোঁচা’
প্রতিদিনের জীবনে, ‘খোঁচা’ শব্দটি শারীরিক আঘাত এবং মানসিক আঘাত উভয়কেই বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, “আমি কাঁটা দিয়ে আঙুলে খোঁচা খেয়েছি” এবং “তার কথাগুলো আমার মনে খোঁচা দিয়েছে” – এই উভয় বাক্যে ‘খোঁচা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।
‘খোঁচা’ শব্দের সাথে সম্পর্কিত প্রবাদ-প্রবচন
- “খোঁচা খাওয়া” – কোনো কথা বা ঘটনা থেকে আঘাত পাওয়া।
- “খোঁচা দিয়ে কথা বলা” – তীক্ষ্ণভাবে কটাক্ষ করার কথা বলা।
- “খোঁচাখোঁচি করা” – পরস্পর তীক্ষ্ণ মন্তব্য করা।
এই পোস্টে আমরা ‘খোঁচা’ শব্দের অর্থ, ব্যবহার এবং এর সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য শব্দ এবং প্রবাদ-প্রবচন সম্পর্কে জেনেছি। বাংলা ভাষার সৌন্দর্য হল এর বহুমুখী শব্দভাণ্ডার। ‘খোঁচা’ শব্দটি এই সৌন্দর্যর একটি প্রমাণ।