আমাদের দেহে প্রতিনিয়ত অসংখ্য জৈবিক কার্য সম্পন্ন হয়। এইসব কার্য সম্পাদনের জন্য দেহের প্রতিটি অংশে অক্সিজেন এবং পুষ্টি পৌঁছে দেওয়ার জন্য রক্তের এক অবিরাম প্রবাহ চলতে থাকে। আর এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করে থাকে রক্তবাহী নালী, যাদের মধ্যে রয়েছে ধমনী, শিরা এবং কৈশিকা। আজ আমরা আলোচনা করবো “কৈশিকা” শব্দটির অর্থ, ব্যবহার এবং এর সাথে সম্পর্কিত আরও কিছু তথ্য।
কৈশিকা নাড়ি কাকে বলে?
কৈশিকা হলো আমাদের দেহের ক্ষুদ্রতম রক্তবাহী নালী। “কৈশিকা” শব্দটি এসেছে “কেশ” থেকে, যার অর্থ চুল। চুলের মতো সূক্ষ্ম ও পাতলা বলেই এদের নাম কৈশিকা নাড়ি।
কৈশিকা নাড়ির কাজ কি?
ধমনী থেকে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত কৈশিকা নাড়ির মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন কোষে পৌঁছে যায়। আবার, কোষ থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড সমৃদ্ধ রক্ত কৈশিকা নাড়ির মাধ্যমে শিরায় প্রবেশ করে। অর্থাৎ, কৈশিকা নাড়ি রক্ত ও কোষের মধ্যে অক্সিজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড, পুষ্টি এবং বর্জ্য পদার্থ বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
কৈশিকা শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ
ইংরেজিতে কৈশিকা নাড়িকে বলা হয় “Capillary” (ক্যাপিলারি)।
কৈশিকা শব্দের সমার্থক শব্দ
কৈশিকার কোনো সরাসরি সমার্থক শব্দ না থাকলেও এর পরিবর্তে “সূক্ষ্ম রক্তবাহী নালী”, “অতি সূক্ষ্ম নালী” ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।
কৈশিকা শব্দের ব্যবহার
কৈশিকা শব্দটি বিভিন্ন প্রসঙ্গে ব্যবহার করা হয়। কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:
- রক্ত সঞ্চালন তন্ত্রের বর্ণনায়
- জীববিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে
- বিভিন্ন রোগের লক্ষণ বর্ণনায় (যেমন, কৈশিকা লিক সিনড্রোম)
- বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ ও গবেষণাপত্রে
উপসংহার
মানবদেহের ক্ষুদ্রতম এই অংশটি আমাদের জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৈশিকা নাড়ির সুষ্ঠু কার্যক্ষমতার উপর আমাদের সার্বিক স্বাস্থ্য নির্ভর করে।