“কেয়ামত” শব্দটি শুনলেই মনের ভেতর এক ধরণের শিহরণ জেগে ওঠে। জীবন, মৃত্যু, পাপ-পুণ্যের হিসাব-নিকাশ – সবকিছু মিলেমিশে যায় এই একটি শব্দের মধ্যে। আজ আমরা জানবো “কেয়ামত” শব্দটির অর্থ, ব্যবহার, এবং এর সাথে জড়িত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
কেয়ামত শব্দের অর্থ কি?
আরবি ভাষা থেকে আগত “কেয়ামত” ( قیامت) শব্দটির বাংলা অর্থ “প্রতিষ্ঠিত হওয়া”। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, কেয়ামত হলো সেই ভয়ংকর ও অনিবার্য দিন, যেদিন এই পৃথিবীর ধ্বংস হবে এবং আল্লাহ্ সকল মানুষকে পুনরুত্থিত করে তাদের কর্মের বিচার করবেন।
কেয়ামত শব্দের সমার্থক শব্দ
- মহাপ্রলয়
- ধ্বংসের দিন
- প্রলয়
- হাশর
- বিচার দিবস
কেয়ামত শব্দের ব্যবহার
“কেয়ামত” শব্দটি মূলত ধর্মীয় প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হলেও, আলংকারিক অর্থেও এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
ধর্মীয় প্রসঙ্গে:
- কেয়ামতের দিন আল্লাহ্ সকলের বিচার করবেন।
- কেয়ামতের আগে অনেক পূর্বাভাস দেখা যাবে।
আলংকারিক অর্থে:
- গতকাল রাতে তো ঝড়ে কেয়ামত হয়ে গেল!
- পরীক্ষায় ফেল করে এখন ওর যেন কেয়ামত।
কেয়ামত নিয়ে কিছু প্রবাদ-প্রবচন
- কেয়ামত আসলেও কৃষক বীজ বপন করবে। (অর্থ: পরিশ্রমী ব্যক্তিরা কোন পরিস্থিতিতেই হাল ছাড়েন না )
- যার করা, তার ভয় নেই। (অর্থ: সৎ মানুষের কেয়ামত নিয়ে ভয় পাওয়ার কথা নয়।)
কেয়ামত কেবল একটি শব্দ নয়; এটি একটি চেতনা, একটি সতর্কবার্তা। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, এই জীবন ক্ষণস্থায়ী এবং আমাদের কর্মের জন্য আমাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে।