বাংলা ভাষা শব্দার্থের সমুদ্রে বিচরণ করতে করতে আমরা প্রায়ই এমন কিছু শব্দের মুখোমুখি হই যাদের অর্থ জানা থাকলেও তাদের ব্যবহার সম্পর্কে আমরা অজ্ঞ। ‘কেশাকর্ষণ’ এমনি একটি শব্দ যা শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এর পেছনে লুকিয়ে আছে গভীর তাৎপর্য। আজ আমরা জেনে নেব ‘কেশাকর্ষণ’ শব্দটির অর্থ, ব্যবহার এবং এ সম্পর্কে কিছু আরও জানা-অজানা তথ্য।
‘কেশাকর্ষণ’ শব্দের অর্থ কি?
‘কেশাকর্ষণ’ শব্দটি দুটি পৃথক শব্দের সমন্বয়ে গঠিত: ‘কেশ’ এবং ‘আকর্ষণ’। ‘কেশ’ মানে চুল এবং ‘আকর্ষণ’ মানে টানা। সুতরাং, ‘কেশাকর্ষণ’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল **চুল ধরে টানা**।
‘কেশাকর্ষণ’ শব্দের ব্যবহার
‘কেশাকর্ষণ’ শব্দটি সাধারণত **কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উপর জোরপূর্বক কর্তৃত্ব স্থাপনের জন্য ব্যবহৃত হয়**। এটি একটি **নীতি বা আইন লাগু করার ক্ষেত্রে বলপ্রয়োগের** ইঙ্গিত দেয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোন সরকার তাদের নাগরিকদের উপর কোন নীতি জোরপূর্বক চাপিয়ে দেয়, তবে বলা যেতে পারে যে তারা ‘কেশাকর্ষণের’ মাধ্যমে তাদের নিয়ন্ত্রণ করছে।
‘কেশাকর্ষণ’ শব্দের সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রবাদ-প্রবচন:
- যার কেশ নেই তার কেশাকর্ষণের ভয় নেই।
‘কেশাকর্ষণ’ শব্দের সমার্থক শব্দ
‘কেশাকর্ষণ’ শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হল:
- জবরদস্তি
- বলপ্রয়োগ
- নির্যাতন
- অত্যাচার
‘কেশাকর্ষণ’ শব্দ সম্পর্কে কিছু তথ্য:
- **উচ্চারণ:** কেশাকর্শোন্
- **পদের নাম:** বিশেষ্য
- **ব্যুৎপত্তি:** তৎসম, সংস্কৃত ‘কেশ’ + ‘আকর্ষণ’
- **সমাস:** ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
‘কেশাকর্ষণ’ একটি শক্তিশালী ও অর্থবহ শব্দ। এটি ব্যবহার করে আমরা কোন কর্মকাণ্ডের জোরপূর্বক বাস্তবায়নের চিত্র স্পষ্ট করে তুলতে পারি। তবে, মনে রাখতে হবে যে শব্দটি নেতিবাচক অর্থ বহন করে এবং এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।